গত রবিবারই বাংলায় করোনায় চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল বাংলায়। স্বাস্থ্য দফতরের মঙ্গলবারের বুলেটিনে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১,৯২৭। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১,১০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১৮ জন মানুষ করোনা-মুক্ত হয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯,৯৩১। অর্থাৎ সুস্থতার হার প্রায় ৬০.৬৯%। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যায় কিছুতেই বাঁধ দেওয়া যাচ্ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২৪ জনের। ফলে রাজ্যে মোট করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮০!
রাজ্যে সার্বিক ভাবে প্রতি ১০০ টেস্টের নিরিখে পজিটিভ আসার হার ৫.১৪ শতাংশ। সেখানে শুধুমাত্র গত চার দিনের হিসেবে তা ১০ শতাংশেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ টেস্টে ১৩ জন মত মানুষ কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। আর এই পরিস্থিতি কাটানোর একমাত্র উপায় হিসেবে আরও বেশি টেস্ট করাকেই উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে কলকাতা নিয়ে চিন্তা রয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৪ জন। মৃত্যুও হয়েছে ৭ জনের। ফলে শুধু কলকাতাতেই মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৬। অবস্থা ভালো নয় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২৯৩, হাওড়ায় ১১৯। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৩ জন মানুষ।
উল্লেখ্য, প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও শুরু হয়েছে বাংলায়। কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যভবনে গণহারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছিল। কিন্তু, কিটের সংখ্যা কম থাকায় টেস্টও বিপুল হারে করা যাচ্ছে না এখন। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “প্রথম পর্যায়ের ১০ হাজার কিট প্রায় শেষের পথে। সব মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সে সব দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার কিটের বরাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, দেশজোড়া চাহিদার কারণে সেই কিটের জোগানে কিছু সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, খুব শীঘ্রই এর সমাধান মিলবে।”