রাজস্থান প্রশাসনের অন্দরে এই টালমাটাল অবস্থার জন্য এবার সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করল শিবসেনা। ঘোড়া কেনাবেচায় উৎসাহিত করে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে বিজেপিই অস্থিরতা তৈরি করেছে বলে শিবসেনার মুখপত্র সামনা’র সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়েছে। মরুরাজ্যে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করে বিজেপি ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের মরুভূমি রচনা করছে বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে সেই সম্পাদকীয়তে।
রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করায় মন্ত্রীসভার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। এরপর আজ সকালেই উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে শচিন পাইলটকে অপসারণ করায় প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরে চলা নাটকের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে। এরপরের চিত্রনাট্যটি অবশ্য আরও চিত্তাকর্ষক হওয়ারই সম্ভাবনা কারণ বিজেপি এবং পাইলট শিবির দু’পক্ষই গেহলট সরকারের ‘ফ্লোর টেস্ট’ দাবি করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে শিবসেনা’র মুখপত্রে। যখন সারা দেশ করোনা ভাইরাস অতিমারীর মতো সঙ্কটের মোকাবিলা করছে, অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়তে চলেছে, লাদাখে চীনের অনুপ্রবেশে ২০ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন সেই রকম সময় সমস্যার সমাধান না করে বিজেপি রাজস্থানে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ঘোড়া কেনাবেচায় উৎসাহ দিয়ে চলেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
শিবাসেনার মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, মরুরাজ্যে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে করে বিজেপি গণতন্ত্র ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। সারা দেশই বিজেপি শাসন করছে। কিছু রাজ্য যদি বিরোধীদের হাতে থাকে তাহলে সেটা হবে গণতন্ত্রের পক্ষে গর্বের বিষয়। মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারের পতনের পরই রাজস্থানের ক্ষেত্রেও যে একই ঘটনা ঘটতে চলেছে সেটা শিবসেনার নেতৃত্ব আগেই আন্দাজ করেছিলেন বলে জানানো হয়েছে তাদের সম্পাদকীয় ‘সামনা’-তে।