অতঃপরে তিনদিনের রুদ্ধশ্বাস নাটকের সমাপণ হল! নাকি আরও খানিকটা বাকি আছে? আছে তো বটেই। এখনও তো গেহলট সরকারের শক্তিপরীক্ষাই হল না। আসল নাটক তো হবে বিধানসভার অধিবেশনে। তার আগে শচীন পাইলটের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেদিকেই নজর গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের।
ইতিমধ্যেই শচীন পাইলটকে বরখাস্ত করে গোবিন্দ সিং ডোতাসরাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করে দিয়েছে কংগ্রেস। শচীনও রাগের মাথায় কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন। টুইটারে নিজের পরিচয় থেকে ‘কংগ্রেস’ শব্দটি সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। এখন আর কংগ্রেসে ফেরার রাস্তা নেই। এই ‘অপমানের’ পর তিনি আর ফিরতেও চাইবেন না।
এখন পাইলটের কাছে দুটো বিকল্প। এক, সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেওয়া। কিন্তু তাতে বহু সমস্যা। কংগ্রেস দল থেকে বহিস্কার করায় এই মুহূর্তে বহু কংগ্রেস সমর্থক তথা রাজস্থানবাসীর সহানুভুতি পাচ্ছেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দিলে সেটা আর থাকবে না। তাছাড়া, পাইলটের সঙ্গে যে ২২ জন বিধায়ক গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০-১২ জন সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিতে চান না। এদের মধ্যে কয়েকজন প্রবীণ বিধায়কও আছেন, যারা সারাজীবন বিজেপি বিরোধিতা করে এসে কেরিয়ারের শেষলগ্নে আর ‘ভুল’ করতে চান না। তাছাড়া, মাত্র ২২ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে গেলে শচীন খুব বেশি সুবিধাও পাবেন না। কারণ, তাতেও কংগ্রেস সরকার পড়া মুশকিল। দুই, নিজের আলাদা দল তৈরি করা। শচীনের জন্য এটাই এই মুহূর্তে সেরা বিকল্প। তিনি আলাদা দল তৈরি করলে অনুগামীদেরও আপত্তি নেই। মানুষের সহানুভুতিও তাঁর সঙ্গে থাকবে। শুধু তাই নয়, পাইলট আলাদা দল তৈরি করলে গেহলট শিবির থেকে অন্তত ৬ জন বিধায়ক তাঁর শিবিরে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
পাইলটকে দল থেকে তাড়ানোর পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অশোক গেহলট বলছেন, ‘পাইলটকে এখন নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি। ৬ মাস ধরে পরিকল্পনা চলছিল। কংগ্রেস সব জানত। রাজস্থানের সরকার নিরাপদ।’ গেহলট জানিয়ে দিয়েছেন, দলত্যাগ করলে বা হুইপ অমান্য করলে বিধায়কদের বিধায়ক পদ বাতিল করা হবে।