বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুতে সামনে এল বেশ কিছু নয়া তথ্য। হেমতাবাদের এই বিজেপি বিধায়ক ব্যবসায়িক টানাপোড়েনের মধ্যে ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তদন্তের কাজ কিছুটা এগনোর পর নতুন কয়েকটি তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক সমস্যার জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। যার জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। খোঁজ মিলেছে সুইসাইড নোটে উল্লেখ দুই ব্যক্তিরও।
সোমবার বিধায়কের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি চায়ের দোকান থেকে। তাঁর শার্টের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে দু’জনের নাম উল্লেখ ছিল। ছিল ফোন নম্বরও। সেসব সূত্র ধরে তদন্ত করতে করতেই পুলিশ তাঁদের খোঁজ পেয়েছে বলে দাবি করে। এদের মধ্যে একজনের নাম নিলয় সিনহা, অপরজন গোপাল মালাকার। পুলিশের দাবি, এঁদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। সূত্রের খবর, গোপাল মালাকারের সঙ্গে একসঙ্গে চালকলের ব্যবসা করতেন হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর সূত্র ধরেই নিলয় সিনহা নামে ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়। দেবেন্দ্রনাথের রায়গঞ্জে বাড়িতে মাস ছয়েক ভাড়াও ছিলেন নিলয়।
পুলিশের আরও দাবি, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, ব্যবসার জন্য রায়গঞ্জের বাড়িটি বন্ধক রেখেছিলেন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। মোটা অঙ্কের টাকা তিনি ধারও দিয়েছিলেন গোপাল মালাকারকে। সম্প্রতি নিলয় সিনহা এবং গোপাল মালাকারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। যার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বিধায়ক, এমনই দাবি করেছে পুলিশ। এদিকে, তল্লাশি চালিয়ে রায়গঞ্জ থেকে নিলয় সিনহাকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে মালদহে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি। খোঁজ চলছে গোপাল মালাকারেরও।