বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই বলে দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ইডেন দেওয়া হবে কোভিড সেন্টারের জন্য। ইডেনের হাই কোর্ট প্রান্তের চারটি গ্যালারির নীচে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হল পুলিশকর্মীদের জন্য। শুক্রবারই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাতে। লালবাজারে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। সেখানেই অভিষেককে অনুরোধ করা হয়, ইডেনের গ্যালারির কিছুটা অংশে যেন পুলিশকর্মীদের নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হয়।
শুক্রবার সিএবি জানিয়ে দেয়, ‘ই, এফ, জি ও এইচ’ ব্লকের নীচে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ‘জে’ ব্লকও নিভৃতবাসের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে। সিএবি সূত্রে জানানো হয়েছে, যাঁদের কোনও উপসর্গ নেই, অথচ ফল এসেছে পজিটিভ, তাঁদেরই রাখা হবে ইডেনের নিভৃতবাসে। এমনকি তাঁদের পরিবারের সদস্যেরাও হয়তো এই নিভৃতবাসেই থাকবেন।
সিএবি-র অফিস ও সংলগ্ন গ্যালারির সঙ্গে কোয়রান্টিন সেন্টারের কোনও যোগাযোগ থাকবে না। একেবারে বিচ্ছিন্ন রাখা হবে ‘বি, সি, ডি, কে ও এল’ ব্লক। কারণ, অফিসের আশেপাশে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হলে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়তে পারে। বন্ধ রাখা হবে সদ্য গড়ে তোলা ইন্ডোর অনুশীলন কেন্দ্রও। প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বলেছেন, ‘‘এই সঙ্কটের সময় সরকার ও পুলিশের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কর্তব্য। শুধুমাত্র পুলিশ প্রতিনিধি যাঁরা করোনায় আক্রান্ত, তাঁদের জন্যই নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘ইডেনের চারটি গ্যালারির নীচে কোয়রান্টিন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ই, এফ, জি, এইচ আপাতত খুলে দেওয়া হবে নিভৃতবাসের জন্য। জে ব্লকও দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের প্রয়োজনে।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে কোয়রান্টিন সেন্টার হিসেবে খুলে যাবে ইডেনের হাই কোর্ট প্রান্তের কিছু ব্লক। তবে আক্রান্তদের আলাদা গেট দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। বিশেষত গেট নম্বর ১০ ও ১২ নম্বর দিয়ে প্রবেশ করবেন আক্রান্ত পুলিশকর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তবে মাঠের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ থাকবে না। বিশেষ সুরক্ষার জন্য নিয়মিত স্যানিটাইজ় করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সিএবি।