শুক্রবার ভোরে মধ্যপ্রদেশ থেকে নিয়ে আসার সময় কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে এনকাউন্টারে খতম করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বিকাশ দুবেকে কানপুরে নিয়ে আসার পথে সে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তাছাড়া পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে সে। তাই পাল্টা গুলিতে খতম করা হয়েছে তাকে। তবে এই এনকাউন্টার নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রবার যেমন প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এদিন কুখ্যাত ডন বিকাশের এনকাউনটার প্রসঙ্গে মন্তব্য করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘অপরাধীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু যারা অপরাধীকে সুরক্ষা দিল তাদের ক্ষেত্রে কী হবে?’ এই প্রশ্ন তুলে প্রিয়াঙ্কা দাবি করেন, কানপুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানুষকে সুরক্ষা দিতে উত্তরপ্রদেশ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সর্তকতা জারি করা সত্ত্বেও বিকাশ দুবে সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়। এই ঘটনা সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরে। শুধু তাই নয়। বিকাশের মদতদাতা রাজনীতিক-পুলিশকর্মীদের বাঁচাতেই কি এনকাউন্টার? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতকালই উজ্জয়ন থেকে বিকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬০-এর বেশি খুন ও রাহাজানির মতো অপরাধে অভিযুক্ত বিকাশ দুবে গত কয়েকদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে প্রথম এসে যায় হরিয়ানায়। এরপর দিল্লিী হয়ে মধ্যপ্রদেশে লুকিয়ে ছিল সে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, উজ্জয়নের মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে আসছে বিকাশ দুবে। সেইমতো ওই মন্দির ঘিরে ফেলে ফাঁদ পাতা হয় তাকে ধরার জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, কানপুরের কাছাকাছি বারা পুলিশ সার্কেলের কাছে হাইওয়েতে অত্যধিক বৃষ্টির ফলে বিকাশকে যে গাড়িতে আনা হচ্ছিল, সেই গাড়িটি উল্টে যায়। সেই সুযোগেই আহত এক পুলিশকর্মীর রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ। তাকে আটকাতে গেলে পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে সে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ ও তাতেই নিহত হয় সে।