বাংলায় করোনা পরিস্থিতি যাতে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে না পারে, তাই জন্য কাল বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে কড়া লকডাউন। কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকা তৈরি করে রীতিমতো কঠোরভাবে ফের লকডাউন চালু হয়েছে রাজ্যে। কিন্তু কোথায় নিয়মবিধি? শুক্রবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, টাকি এলাকার ছবি দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে এসব এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন। মাস্ক না পরেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন মানুষজন। যদিও এই নিয়মভঙ্গের শাস্তিও হাতেনাতে পেলেন তাঁরা। টাকি রোডের উপর ১০ জনকে গ্রেফতার করে তাঁদের ওঠবোস করাল পুলিশ।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ও টাকি পৌরসভা, বসিরহাট ১ এবং ২ নম্বর ব্লকে মোট ১৩টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। এসব জায়গায় দ্রুত করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নতুন করে লকডাউনের পথে হেঁটেছে জেলা প্রশাসন। আনলক-২ পর্বে রাজ্য প্রশাসন যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তার নিদর্শন দেখা গেল বসিরহাট মহকুমা এলাকায়। এই দুর্গম পরিস্থিতিতে লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে সংক্রমণ রোখার চেষ্টায় মরিয়া বসিরহাট জেলা পুলিশ।
শুক্রবার সকাল থেকেই কড়া হাতে লকডাউন পালনে পথে নেমেছে পুলিশ। সকাল থেকে এসব এলাকায় মাইকিং করে প্রচার শুরু হয়েছে। মাটিয়া থানা এলাকায় টাকি রোডে টহল দেওয়ার সময় পুলিশের নজরে পড়ে, কনটেইনমেন্ট জোন হওয়া সত্বেও আইন অমান্য করে, মুখে মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরিয়েছেন কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে ১০জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাস্তার উপরেই তাঁদের কান ধরে ওঠবোস করানো হয়।