ইউজিসির তরফে নয়া গাইডলাইন আসার পরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এইক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। তবে সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের অবস্থান খানিকটা অবস্থান বদল করে ইউজিসিকে তাদের তরফে দেওয়া নয়া গাইডলাইন নিয়ে চিঠি পাঠাল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর।
বৃহস্পতিবার উচ্চ শিক্ষা দফতর চিঠি পাঠিয়ে ইউজিসি-কে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল রাজ্য তার পুরনো অ্যাডভাইজারি মেনেই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করতে চায়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “ছাত্রদের ব্যাপারে আমাদের যা সিদ্ধান্ত আমরা তা জানিয়ে দিয়েছি ইউজিসি-কে। আমাদের অবস্থান সম্পর্কে চিঠিতে আমরা সব জানিয়েছি।”
শুধু তাই নয় চিঠি পাঠিয়ে ইউজিসিকে কার্যত প্রশ্ন তোলা হয়েছে যেখানে শিক্ষা যুগ্ম তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেখানে ইউজিসি কিভাবে একতরফাভাবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল? শুধু তাই নয় একদিকে যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা দেশে ক্রমশ বেড়েই চলেছে, সেই সময় আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব তা নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে।
ইউজিসিকে তাই রাজ্যের তরফে চিঠি পাঠিয়ে নয়া গাইডলাইনের পুনর্বিবেচনা করার আর্জি ও রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার রাজ্যের অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কিভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে অ্যাডভাইজারি পাঠানোর পর বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে পরীক্ষা নিয়ে। ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য রাজ্যের অ্যাডভাইজারিকে স্বাগত ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কিভাবে ইউসিসির গাইডলাইনকে কার্যকরী করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউজিসির তরফে এই গাইডলাইন জারি হওয়ার পর পর ইতিমধ্যেই কয়েকটি রাজ্য তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ুর মত রাজ্যগুলি চিঠি পাঠিয়ে তাদের এই নিয়মে ঘোরতর আপত্তির কথা জানিয়েছে ইউজিসিকে। এবার বৃহস্পতিবার নয়া গাইডলাইন নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে ইউজিসিকে চিঠি পাঠাল বাংলাও।