বিদেশি ছাত্রদের হয়ে বড় পদক্ষেপ নিল দুই মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসেচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি। সোমবার মার্কিন ইমিগ্রেশান অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, আগামী মরশুমে সামগ্রিক পঠনপাঠন অনলাইনে চলবে এমন বিদেশিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই ইসিই এবং মার্কিন সুরক্ষাবিভাগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল এই দুই সংস্থা।
ম্যাসেচুসেটসের ফেডেরাল আদালতে এদিন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন জানায় যাতে ডিক্রি জারি করে এই গাইডলাইনকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই গাইডলাইন জারি করার আগে ছাত্রদের স্বাস্থ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামতের পরোয়া করেনি মার্কিন প্রশাসন। কোনও নোটিশও পাঠানো হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, ‘ইমিগ্রেশান অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের খামখেয়ালিপনায় হাজার হাজার বিদেশি ছাত্রের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাগ্রহণের আর কোনও সুযোগ থাকছে না। ফল সেমিস্টার আসন্ন। এত স্বল্প মেয়াদে এই ছাত্রদের নতুন কোনও প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ারও অবকাশ থাকবে না।’ একই সঙ্গে এই ছাত্রদের দেশে ফেরা খরচসাপেক্ষ এবং আশঙ্কাজনক বলেও জানানো হয়েছে এই অভিযোগে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মোট ক্লাসের কিছু অংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চার দেওয়ালের মধ্যে উপস্থিত থেকে করতে হবে। যদি গোটা পঠনপাঠনটাই অনলাইনে সারা হয় তবে ভিসা বাতিল হবে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের। নতুন করে ভিসা ইস্যু করারও সুযোগ থাকবে না। এই বিবৃতিতে বেকায়দায় পড়ে কয়েক লক্ষ আন্তর্জাতিক ছাত্র। এর মধ্যে কয়েক হাজার ভারতীয় ছাত্রও আছে। তারা স্প্রিং-সিজনের পঠনপাঠনে অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের তরফেই করোনা পরিস্থিতিতে তাদের অনলাইন ক্লাস করতে বলা হয়েছিল।