বর্তমানে প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক ভারতের। চীনা সৈন্যদের আক্রমণে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হওয়ার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি পূর্ব লাদাখে। যার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেই। বেশ কয়েকদিনের টানাপোড়েনের পর অবশেষে গত সোমবার রাতে ৫৯টি চীনা অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। পাল্টা কয়েকটি ভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বেজিংও।
আর এমন পরিস্থিতিতে চীন নিয়ে কথা বলা মানেই তা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হতে পারে। তাই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর চাইছেন না দলেরই কেউ চীন নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে কোনওরকম বিতর্কে জড়াক। আর সেই কারণেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দলকে দলের নেতা-কর্মীদের একাধিক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “চীন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যা বলার আমি বলব। আপনারা কেউ এই বিষয়ে মুখ খুলবেন না।”
এছাড়াও এদিন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের জনসংযোগ বাড়ানোর কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জনবিরোধী কার্যকলাপ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, “রেল ও কয়লার মত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বেসরকারিকরণের যে পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকার নিচ্ছে, সেটা যে জনবিরোধী, তাও সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। এলাকার মানুষকে কাছে গিয়ে বলতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম যেভাবে দিন দিন বাড়ছে তা নিয়ে বুথে বুথে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হবে।”