ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের মধ্যে চীন এবার পাকিস্তানকে ব্যবহার করছে৷ পাকিস্তানের অধীনে থাকা কাশ্মীর অর্থাৎ পিওকে-র স্কার্দু এয়ারবেস কাজে লাগাচ্ছে বেজিং৷ সেখানে চীনের বায়ুসেনার মুভমেন্ট দেখতে পেয়েছে ভারতীয় এজেন্সি৷ তারা সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷ তাদের দেওয়া খবর অনুযায়ী ৪০ টির বেশি চীনা ফাইটার জেট জে ১০ স্কার্দুতে দেখা গিয়েছে৷ এই প্রেক্ষিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চীনা বায়ুসেনা ভারতে হামলার জন্য এই এয়ারবেস ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
এই এয়ারবেস লেহ-র থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ যেকোনও চীনা এয়ারবেসের থেকে এটা ভারতের অনেক কাছে৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী এই জন্য চিন স্কার্দু এয়ারবেস ব্যবহার করে নিজের শক্তি পরীক্ষা করতে চায়৷ যাতে ভারতের একদম কাছ থেকে ভারতের উপর হামলা চালানো যায়৷ তাই ভারতকে এবার ২ টি আলাদা সীমান্তে লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হচ্ছে৷
সূত্র আরও জানিয়েছ লাদাখে হামলা চালানোর জন্য চীনের কাছে তিনটি এয়ারবেস রয়েছে৷ সেখান থেকে ফাইটার এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এগুলি হল কাশগর, হোতান আর নগ্রি গুরগুংসা৷ এই এয়ারবেসগুলি থেকে তাদের হামলা চালানোর ক্ষমতা সীমিত৷ কাশগর থেকে লেহ-র দূরত্ব ৬২৫ কিলোমিটার, খোতান থেকে ৩৯০ কিমি, ও গুরগুংসা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে৷ এগুলি সবই ১১ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় রয়েছে৷
আর সেখানেই ১০০ কিলোমিটার দূরে স্কার্দু চিনের জন্য সবচেয়ে ভাল অপশন৷ কারগিল সেখান থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে৷ এই এয়ারবেসে ২ টি রানওয়ে আছে৷ একটি আড়াই কিলোমিটার লম্বা, আর দ্বিতীয়টি ৩.৫ কিমি লম্বা৷ চীনা ফাইটার জেট এই এয়ারবেস থেকে কাজ করে আবার সেখান থেকে ফিরে যেতে পারবে৷ আর ভারত যদি স্কার্দুতে পাল্টা হানা দেয় তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু করার সহজ বাহানা পেয়ে যাবে৷
সূত্রের হিসেব মতো আইএসআই চীনের গুপ্তচর সংগঠন মিনিস্ট্রি অফ স্টেট সিকিউরিটি-র সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছে৷ এদের সঙ্গে ট্রেনিং করে আতঙ্কবাদীদের হামলায় বদলও আনছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি৷