চীনের মত নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে বিবাদের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ভারতের। কিছুদিন ধরেই নেপাল ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। মানচিত্রে বদল এনে তাঁরা ভারতের তিনটি এলাকা নিজেদের বলে দাবি করছে। চলতি মাসেই এই নয়া মানচিত্র সংক্রান্ত বিলও সংসদে পাশ করিয়েছে ওলি সরকার। কিন্তু অন্যদিকে চীন যখন একের পর এক নেপালের গ্রাম অধিগ্রহণ করছে, তখন তা নিয়ে চুপ থাকায় ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নেপাল সরকারকে। এরই মধ্যে নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে চরম বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। দলের অন্দরেই সরকার বিরোধিতার সুর শোনা যাচ্ছে। এমনকী দলের নেতাদের অনেকেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবি করছেন। যার মধ্যে পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচন্ডর নাম সবার আগে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি পুষ্পকমল দাহাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওলি প্রতিটি ইস্যুতেই ব্যর্থ, এরজন্য তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিৎ।
যদিও ওলি নিজে দলের মধ্যে বিবাদ ও তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ওলি ইস্তফা না দিলে দল ভাগ করার পর্যন্ত হুমকি দিয়েছেন দাহাল। তাঁর মতে, ওলিকে সমর্থন দেওয়া উচিত হয়নি। এই সমর্থন তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সবথেকে বড় ভুল। দুই মেয়াদে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা পুষ্পকমল দাহালকে দলের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও সমর্থন করছেন। সংঘাত এতটাই চরমে যে ওলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক মন্ডলি আর স্থায়ী কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে, ওলির ওপর চাপ বাড়াতে নেপালের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের সাংসদরা প্রতিনিধি সভায় একটি প্রস্তাব পেশ করে সরকারের কাছ থেকে চীনের হাতে কবজা হওয়া নেপালের ভূখণ্ড ফেরত নেওয়া আর বেদখল হয়ে যাওয়া এলাকাগুলির বর্তমান পরিস্থিতি কী, সেটা সংসদে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।