চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ যুদ্ধ আবহে গত এক মাস ধরেই চলছে চীনা অ্যাপ বয়কটের জিগির। কেন্দ্রের তরফ থেকেই বাতিল করা হচ্ছিল সেই চীনা অ্যাপগুলিকে। তবে এদিন সেই সমস্ত তথ্যকে অস্বীকার করে প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। এই খবরটিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দেয় তারা।
লাদাখ ইস্যুতে সম্প্রতি চীনা পণ্য বাতিলের ডাক দেওয়া হয়। তবে তারও আগে থেকে চীনা অ্যাপ ব্যবহারের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞপ্তিও ছড়িয়ে পড়ে । ন্যাশানাল ইনফরমেশন সেন্টারের লোগো দেওয়া সেই নোটিশে কিছু অ্যাপের নাম উল্লেখ করে লেখা রয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার এইসমস্ত অ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তবে পিআইবি সেই নোটিশকে সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে জানায়, গুগল বা অ্যাপেল প্লে স্টোরকে সেরকম কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফ থেকে।
সূত্রের খবর, মাত্র কয়েকদিন আগেই অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনকে কোণঠাসা করার নীতি নিয়েছিল কেন্দ্র। গ্রাহকদের তথ্য চুরির অভিযোগে মোবাইলে থাকা চীনা অ্যাপগুলি বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টিকটক, জুমের মতো জনপ্রিয় ভিডিয়ো কনফারেন্সিং অ্যাপ ছাড়াও ইউসি ব্রাউজার, জেন্ডার, শেয়ারইট, ক্লিন-মাস্টার’এর মতো বহুল প্রচলিত ৫২টি অ্যাপ অবিলম্বে দেশবাসীকে ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই অ্যাপের সাহায্যে দেশের জনগনের সমস্ত গোপন তথ্য চুরি করা হচ্ছে বলে কেন্দ্রকে তা অবিলম্বে বন্ধ করার পরামর্শ দেয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট। কর্তৃপক্ষের দাবি, স্মার্টফোনে থাকা এই সমস্ত অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের অনেক গোপন তথ্য দেশের বাইরে নিয়ে চলে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। যদিও এই তালিকায় থাকা ‘জুম’, চীনা অ্যাপ নয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই বিশ্বে একঘরে হতে শুরু করে চীন। এরপরেই লাদাখ ইস্যু সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে। ফলে চীনা পণ্য ব্যবহার বয়কটের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। কয়েকজন বিজেপি নেতার মুখেও চীনা পন্য ব্যবহার করলে তার ফল ভোগের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায়। তবে সারা দেশ উত্তপ্ত হলেও এই আবহে চিনা অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়ে সম্পূর্ণ উল্টো সুর গাইতে শুরু করে পিআইবি। তবে এই মত পরিবর্তনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাই নিয়ে ধন্ধে ওয়াকিবহাল মহল।