১১ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভাষণে দলের নয়া কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রা শুরুর মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই ৫০ হাজার সদস্য সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছে ‘বাংলার যুবশক্তি’। রবিবার এই খবর জানিয়েছেন খোদ অভিষেক। গতকাল তার খতিয়ান তুলে ধরে একটি টুইটও করেন তিনি। টুইটে অভিষেক লিখেছেন, ‘মাত্র ১০ দিনের মধ্যে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে ৫০ হাজার যুবক-যুবতি যোগ দিয়েছে বাংলার যুবশক্তিতে। তাঁদের এই পদক্ষেপ ও বাংলাকে এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সেবা করার জন্য এগিয়ে আসায় আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জনসংযোগের কাজে এবার যুবদের কাঁধকেই ভরসা করতে চাইছে দল। এই প্রেক্ষাপটে, করোনা আবহেই, সপ্তাহ দেড় আগে ফেসবুকে লাইভ করে যুব তৃণমূলের নতুন প্রকল্প ‘বাংলার যুবশক্তি’র কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। যা পুরোটাই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত, অন্তত এমনটাই জানা যায় দলের তরফে। সেই ঘোষণার একদিনের মধ্যেই যুবশক্তিতে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন রাজ্যের প্রায় ৪২ লক্ষ যুবক যুবতী। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ১০ দিনের মধ্যে সেটাই ছুঁয়ে ফেললো ৫০ হাজারের সদস্যপদ।
যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৩৯টি ব্লক, ৩৫৭টি শহরজুড়ে যুবক-যুবতী এই সংগঠনের সদস্য হিসাবে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। এই সমস্ত নবনিযুক্ত ছেলেমেয়েরা জনসংযোগের কাজটি করবেন বর্তমানে। করোনা-আবহে সব মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছচ্ছে কিনা, সবাই তার সুবিধা পাচ্ছে কিনা, তার খোঁজ নেবেন তাঁরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রথম অবস্থায় এই পুরো প্রক্রিয়া চলবে অনলাইন ভিত্তিক। সেক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমেই কলকাতা-সহ জেলার নব যুক্ত ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে দল। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যাবতীয় উপদেশ, নির্দেশ দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একযোগে সরাসরি রাস্তায় নেমে কাজ করবেন তারা।