বর্ষা এলেই ফি’বছর বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দেয় গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা দু’নম্বর ব্লকে। দু’টি এলাকাই ভীষণ বন্যাপ্রবণ। খুব স্বস্তিতে থাকে না বাগনান, আমতা-১ ব্লকও। এখন দু’দিন ছাড়া ছাড়াই বৃষ্টি হচ্ছে। ভালো ভাবে বর্ষা নামার আগেই বুধবার উদয়নারায়ণপুরে তাঁতের হাটে জেলাশাসক মুক্তা আর্য্যা একটি বৈঠক ডাকেন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে কী ভাবে মোকাবিল করা যাবে, এ দিন তা নিয়ে বিস্তারে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে সতর্কতামূলক নানা কাজের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০ হাজার খালি বস্তা মজুত করেছে সেচ দফতর। আরও ৪০ হাজার খালি বস্তা মজুত করা হচ্ছে। মোট এক লক্ষ বস্তা মজুত রাখবে সেচ দফতর। সেই বস্তায় মাটি বা বালি ভরে তা বিভিন্ন জায়গায় বাঁধের উপরে রাখা হবে। বৈঠকে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘উম্পুনের সময় বিদ্যুতের অনেক খুঁটি হেলে গিয়েছে। সেগুলি অবিলম্বে সোজা করা দরকার।’
দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা, উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায়, বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন ও আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র। বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও সেচ, বিদ্যুৎ, খাদ্য, দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসক মুক্তা আর্য্যা ছাড়াও ছিলেন হাওড়ার পুলিশ সুপার সৌম্য রায়, উলুবেড়িয়ার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দোপাধ্যায়ও।