মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু কেন এই অবসাদ? কান পাতলে শোনা যাচ্ছে নেপোটিজমের কথা, স্বজনপোষণের কথা, নির্দিষ্ট শিবিরের বাইরের কাজ না যাওয়ার কথা। একই সঙ্গে উঠতি সম্ভাবনাদের সিনিয়রদের দ্বারা তাচ্ছিল্য।
সুশান্ত মারা যাওয়ার পর ভাইরাল হয়েছে ‘কফি উইথ করণে’ আলিয়া ভাটের একটি এপিসোড। আলিয়া, বরুণ ধাওয়ান আর সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ছিলেন সেই শোয়ে । সেখানে আলিয়াকে তিন নায়কের নাম নিয়ে সঞ্চালক করণ, আলিয়াকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কার সঙ্গে ডেটে যেতে চান এবং কাকে বিয়ে করতে চান আর কাকে মেরে ফেলতে চান। আলিয়ার মেরে ফেলার তালিকায় নাম ছিল সুশান্তের। ছোট একটা সরি বলার পর একচোট হেসেছিলেন আলিয়া। আবার সুশান্তের নাম শুনে আলিয়া বলেছিলেন, “সুশান্ত সিং রাজপুত! এ আবার কে?”
আবার এই আলিয়াই সুশান্তের মৃত্যুর পরে বিষন্ন হয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন যাকে নেটিজেনরা কুমিরের কান্নাই বলছেন।
সুশান্তের মৃত্যুতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের দিকেই আঙুল তুলেছেন করণ । কেন তিনি সুশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি, তা নিয়ে নিজেকে দোষারোপও করেছেন । আবার আলিয়াও লেখেন, ‘আমার বলার কোনও ভাষা নেই, কতটা গভীর যন্ত্রণা এটা ….।’ এরপরেই নেটিজেনরা কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেন দুই তারকাকে । #boycottbollywood-এর পাশাপাশি #nepotisminbollywood-এর ঝড় উঠেছে টুইটারে।
বলিউডের হৃদয়হীনতা, নেপোটিজমের বাড়বাড়ন্ত, এলিট ক্লাসের উন্নাসিকতা এসবই কী ধীরে ধীরে সুশান্ত সিং রাজপুতকে ঠেলে দিল মৃত্যুর দিকে ? সুশান্তের মৃত্যু স্পষ্টতই দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছে বলিউডকে । একদিকে ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজমের ধ্বজা ওড়ানো, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো তারকাকূল । অন্যদিকে, বলিউডের এই স্বার্থপরতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো বাকিরা । এখন এভাবেই বিভক্ত বলিউড।
কিন্তু ঠিক কেন চলে যেতে হল সুশান্তকে? না তা আর জানা যাবে না। কিন্তু উঠে আসছে সুশান্তের এক ইনস্টা পোস্ট যেখানে তিনি লিখেছিলেন, “আমার সিনেমা দেখুন নাহলে ওরা আমাকে বার করে দেবে, আপনারাই আমার গডফাদার”। পরিচালক শেখর কাপুরও বলেছেন, ” এই দায় তোমার নয় ওদের যাদের জন্য তোমাকে চলে যেতে হল”। কাদের জন্য? না উত্তর হারিয়ে যাবে কালগর্ভেই।