আগামী ১২ জুন আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৫ বছর পূর্ণ করবেন সুনীল ছেত্রী। ২০০৩ সালে মোহন বাগান ক্লাব থেকেই পেশাদার ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। সেই সময় ‘পালতোলা নৌকা’র দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশিক্ষণেই পরিশীলিত হয়ে উঠেছিলেন সুনীল। বাকিটা নিশ্চয়ই সবারই জানা। তাই একদা ছাত্র তথা বর্তমানে জামাই সুনীলের যাত্রাপথের বিশ্লেষণ শোনা গেল শ্বশুরের মুখে।
১৭ বছর আগের এক সকালে মোহন বাগান মাঠে ট্রায়ালে তাঁকে দেখেছিলেন তৎকালীন বাগান কোচ। প্রথম দেখাতেই নজর কেড়েছিলেন সুনীল। তবে তাঁর উচ্চতা নিয়ে সামান্য সংশয় তৈরি হয়েছিল সুব্রতর। কিন্তু সুব্রত জানাচ্ছেন অদম্য এক জেদ দেখেছিলাম ওর মধ্যে।
সুব্রত জানাচ্ছেন, “মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ দেখেছি। বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল দু’জনের মধ্যে। এরা হল সুনীল ছেত্রী ও সুব্রত পাল। সুনীলের মধ্যে বড় স্ট্রাইকার হওয়ার যাবতীয় রসদ ছিল। ওর গতি ও শ্যুটিং ছিল বেশ উঁচুমানের। তবে বলতে দ্বিধা নেই যে, সেই সময় মনে হয়েছিল উচ্চতা ওর কাছে বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সুনীল আমার সেই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করেছে। ও সবসময় বল তাড়া করে। ৫ ফুট৭ ইঞ্চি উচ্চতা হলেও সুনীলের হেড চমৎকার। সেটপিস থেকে বল ভেসে উঠলেই ও গোলের গন্ধ পায়। সুনীল অবশ্য কোনওদিনই ভালো ড্রিবলার নয়। তবে নিজের এই দুর্বলতাকে কাটিয়ে ওঠার জন্য বিকল্প পথও ও খুঁজে নিয়েছে। এটাই সুনীলের বিশেষত্ব।’’