উম্পুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার। তা সত্ত্বেও দিল্লীর সংবাদমাধ্যমে সেভাবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ছবি বা খবর সম্প্রচারিত হয়নি। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে সে প্রসঙ্গে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২০ মে বাংলায় আছড়ে পড়ে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় উম্পুন। ১৩৩ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাংলার একাধিক জেলা। কোথাও ভেঙেছে গাছ। আবার কোথাও উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বিপর্যস্ত হয়েছিল জনজীবন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও সরেজমিনে বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে দিল্লী। তাই উম্পুনের ক্ষতি দিল্লীর কোনও সংবাদমাধ্যম সম্প্রচার করেনি। অথচ কম শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও মুম্বইয়ের নিসর্গ নিয়ে বারবার সম্প্রচার করা হয়েছে।
উম্পুন পরবর্তী সময়ে রাজ্যে বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গকে বিরোধীদের তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের প্রসঙ্গে মুম্বই, চেন্নাই এবং ফণী পরবর্তী উড়িষ্যার সঙ্গে বাংলার তুলনাও করে মমতা বলেন, ‘ফণীর পর উড়িষ্যায় ১ মাস বিদ্যুৎ ছিল না। চেন্নাইয়েও জল জমা নতুন কিছু নয়। দুর্যোগের সময় রাজনীতি করবেন না। এসব রাজ্যের তুলনায় বাংলায় অনেক দ্রুত কাজ হয়েছে।’
ইতিমধ্যে উম্পুন বিধ্বস্ত বাংলাকে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, মৎস্যজীবী-সহ প্রায় সকলকেই দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্য। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের। পরিবেশ দিবসে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হয়। ১৪ জুলাই বনদিবসেও সেখানে গাছ লাগানো হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।