রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মুম্বই-গুজরাতের চেয়ে ঢের ভাল। তাই চক্রান্ত করে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢোকানো হচ্ছে। চেষ্টা হচ্ছে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ানোর। এভাবেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
বলার অপেক্ষা রাখে না বাংলায় টেস্ট বেড়েছে অনেক। সংক্রমণের হারও বেড়েছে। তবে মৃত্যুহার সেইভাবে বাড়েনি। চিকিত্সা বিশেষজ্ঞদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, লকডাউন শিথিল হতেই রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন, সংক্রমণ বাড়ছে এবং তা ছড়িয়ে পড়ছে জেলায় জেলায়। একই অভিযোগ করছে রাজ্য সরকারও। রাজ্যের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা ব্যবস্থা না করেই কেন তড়িঘড়ি লকডাউনের পথে হাঁটল কেন্দ্র?
অন্যদিকে, উম্পুন বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসাবে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বনমন্ত্রী রাজীবের প্রশ্ন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম দেখানোর জন্যই কী এতদিন পরে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল?
শুক্রবার দলীয় এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ব্রাত্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় দল নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছেন। রাজভবন থেকে শুরু হয়েছে এটা।’ মন্ত্রী রাজীবের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে প্রধানমন্ত্রী চলে এলেন, আর কেন্দ্রীয় দলের আসতে সময় লেগে গেল ১৫ দিন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম দেখানোর জন্যই কী এতদিন পরে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল?’