করোনা তো ছিলই, এবার মহারাষ্ট্রে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে নেমে এল নিসর্গ। না পুর্বাভাস অনুযায়ী ক্ষতি হয়ত করতে পারেনি নিসর্গ তবে প্রবল ঝড়ের দাপটে প্রাণ হারালেন ৩ জন।
ঝড়বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আলিবাগে উমতে বিদ্যুতের খুঁটি গায়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। এছাড়াও পুণেতে বছর পঁয়ষট্টির এক মহিলা এবং ৫২ বছর বয়সি এক ব্যক্তির ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মৃত্যু হয়েছে। রত্নাগিরিতে চারজন এবং মুম্বইয়ে তিনজন নিসর্গের দাপটে জখমও হয়েছেন।
ঝড়বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি জায়গায় ভেঙেছে গাছ। বেশ কয়েকটি জায়গায় ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি। তার ফলে আলিবাগ এবং রত্নাগিরিতে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই আশ্বাস বিদ্যুৎ দফতরের। নির্মীয়মাণ বাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট।
প্রায় ১৪০ বছর পর মুম্বইতে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাসকে সত্যি করে বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মহারাষ্ট্রের আলিবাগে প্রথম আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ।
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দুপুর সাড়ে তিনটের মধ্যে মহারাষ্ট্রের উপকূল, গুজরাটের দক্ষিণাংশ, নগর হাভেলি, দমন, দিউয়ে নিসর্গের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি হয়। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার। তবে প্রচণ্ড গতিতে মহরাষ্ট্রে আছড়ে পড়লেও লণ্ডভণ্ড করতে পারেনি মুম্বইকে। তার আগেই খানিকটা শক্তি হারিয়ে ফেলে আরব সাগরের উপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়। বিকেলের পর থেকে বদলে যায় আবহাওয়া। তবে নিসর্গর দাপটে বৃষ্টিপাত হয়েছে যথেষ্টই। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে আলিবাগে। প্রায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এখানে। কোলাবায় ৪৩, রত্নাগিরিতে ৩৮ এবং সান্তাক্রুজে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।