গত ৪ সপ্তাহ ধরে লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর একপ্রকার যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনার মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় দুই বাহিনীর মধ্যে গত দু’সপ্তাহ ধরে কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার, মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। গত মঙ্গলবারও দুই দেশের মধ্যে মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। তবে তাতে দমে না গিয়ে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অবশ্যম্ভাবী সংঘর্ষ এড়াতে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই দেশের সেনাকর্তারা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ৬ জুন শনিবার সকালে লাদাখে দুই দেশের সেনার বর্তমান অবস্থান নিয়ে বৈঠকে বসছেন ভারত ও চীনের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার সেনাকর্তারা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, দুই দেশের বাহিনী ৫০০ মিটার দূরত্বে মুখোমুখি অবস্থান করছে। প্রায় ২৫ দিন ধরে লালফৌজ গালওয়ান নদী উপত্যকা, দারবুক, দৌলত বেগ ওল্ডি-সহ একাধিক সেক্টরের কাছে অস্ত্রশস্ত্র সহ ঘাঁটি গেড়েছে। কারাকোরাম পাসের কাছে ভারত রাস্তা তৈরি বন্ধ না করলে সেনা সরাবে না বলে চিন সাফ জানিয়েছে। রাস্তা তৈরি বন্ধ হবে না বলে ভারতও পালটা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরস্থিতিতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের এই বৈঠকে নজর থাকবে গোটা দেশের। ভারতীয় সেনা কর্তাদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন লাদাখে সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে, কূটনৈতিক আলোচনার পথে হাঁটতে পারে দুই দেশ।