আমেরিকার প্রকাশ্য রাস্তায় জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ঘটনায় বর্তমানে উত্তপ্ত মার্কিন মুলুক। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেও এই বিক্ষোভ মেনে নিতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাল্টা হুমকি দিয়ে টুইট করেছিলেন তিনি। যা ক্রস-পোস্ট পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসবুক পেজেও পোস্ট হয়। সেই বিতর্কিত টুইট সরিয়ে দিতে টুইটার দেরি করেনি। তবে ফেসবুক থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই পোস্টে হাত দেওয়া হয়নি। আর এর জেরেই ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকেরবার্গকে নিশানা করলেন তাঁরই সংস্থার কর্মীরা।
দুনিয়ার বৃহত্তম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের অনেক কর্মীই মুখ খুলেছেন সংস্থার শীর্ষকর্তা জুকেরবার্গের বিরুদ্ধে। তবে ফেসবুকে নয়, বরং প্রতিদ্বন্দ্বী টুইটারে জুকেরবার্গ ও ফেসবুক বিরোধী এই পোস্ট করেছেন ফেসবুক কর্মীরাই। ব্লুমবার্গ রিপোর্টার সারা ফ্রায়ারের মতে, প্রকাশ্যে এভাবে সরব হতে দেখা যায়নি ফেসবুকের কর্মীদের। এই ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ বলে দাবি তাঁর। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহ থেকেই ফেসবুকের নীতি নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেছেন সেই সংস্থার কর্মীরাই। রাজনীতিকদের ‘রাজনীতির স্বার্থে যা ইচ্ছা পোস্টে’র ক্ষমতা নিয়ে সরব হয়েছেন ফেসবুকেরই ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বিকার্টের মতো অনেকেই।
প্রসঙ্গত, এই মার্ক জুকেরবার্গের এক মন্তব্যের পরই বেড়েছে কর্মীদের এই উষ্মা। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুকেরবার্গ জানিয়েছিলেন, ‘রাজনীতিবিদদের পোস্টে কোনও সত্য-তথ্য অনুসন্ধান করবে না ফেসবুক।’ তবে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর সহমর্মিতা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মার্ক জুকেরবার্গ। শুধু তাই নয়, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য ১ কোটি মার্কিন ডলার খরচের কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পোস্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মার্ক জুকেরবার্গ। আর তাতেই চটেছেন কর্মীরা।