ছোট্ট চোখে বড় হওয়ার স্বপ্ন নয়ডার এক ১২ বছরের কিশোরী, নিহারিকা দ্বিবেদীর।অন্যের দুঃখে ছোট থেকেই সমব্যথী হয় সে। এবার এইটুকু বয়সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালো নিহারিকা।
চোখে হাজার তারার স্বপ্ন নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াল এই কিশোরী। নিজের জমানো টাকা দিয়ে ৩ পরিযায়ীকে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করে সে। নাবালিকার এই সাহায্যকে কুর্নিশ জানান ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
পরিযায়ী পাখি সম্পর্কে বইতে পড়েছে নয়ডার কিশোরী, নিহারিকা। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিক কী? সেই সংজ্ঞাটা তার কাছে স্পষ্ট নয়। তবে এটুকু বুঝতে পেরেছে যে বহু মানুষ গৃহহীন। তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ আটকে রয়েছেন নয়ডাতেও। পরিবারের বড়দের থেকে দেশের দশের গল্প শুনে আন্দাজ করতে পেরেছে যে, তার মত অনেক বাড়ির সন্তানরাই অপেক্ষায় বসে তাদের বাবাকে চোখের দেখা দেখবে বলে। তাই আর দেরি নয়। এখুনি বাড়িয়ে দিতে হবে সাহায্যের হাত। এই ভেবেই নিজের সঞ্চয়ের ৪৮ হাজার টাকা ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে তুলে দেয় নিহারিকা। সেই টাকা দিয়ে বিমানের টিকিট কেটে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের।
সবাইকে সাহায্য করার এক চিলতে আশা নিয়ে নিজের সঞ্চয়ের ভাণ্ডার ভেঙে ফেলে সে। ঝাড়খন্ডের তিন পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফেরাতে বিমানের টিকিট কাটার টাকা দিতেও দ্বিধা করেনি অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রী। এই বয়সেই নিহারিকার পরোপকারিতা ও মানিবকতার গুণে মুগ্ধ হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সোমবার কিশোরীকে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।