মিনিয়াপোলিস কাণ্ডের জেরে আগেই হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। যে কারণে ভয়ে হোয়াইট হাউজের তলায় বিশেষ বাঙ্কারে গিয়ে লুকোতে হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তারপর সময় গড়ালেও কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে এখনও উত্তাল আমেরিকার একাধিক শহর। প্রায় সব বড় শহরেই শয়ে শয়ে মানুষ বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারদের পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে। তবে গোটা ওয়াশিংটন ও হোয়াইট হাউজের পরিস্থিতি বেশ ভয়ানক। হিংসাত্মক বিক্ষোভ সামলাতে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার করতে হচ্ছে পুলিশকে। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ‘ঠান্ডা’ করতে সেনা নামানোর হুমকি দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সময় সোমবার তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মেয়র ও গভর্নরকে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যদি কোনও শহর বা রাজ্য মানুষ ও সম্পত্তি বাঁচানোর স্বার্থে কড়া না হন, তাহলে আমি মার্কিন সেনাবাহিনী ডেকে খুব সহজে সব ঠান্ডা করে দেব।’ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউজের বাইরে লোহার ব্যারিকেড ভেঙে দিতেই বাঙ্কারে গিয়ে লুকোন ট্রাম্প। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন তিনি। সেই সময় নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোয়াইট হাউজের সব আলো। দীর্ঘদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর সেদিন অন্ধকারে ডুবে ছিল। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গর গলায় হাঁটু চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও ভাইরালও হয়ে যায়। অবশেষে শুক্রবার ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী-সহ মোট চারজনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।