বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিউ টাউনে কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল টিম প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস। তারপরেও সোমবার ‘নতুন ভোরের’ আলোয় আলোকিত হয়নি না ইস্ট বেঙ্গল। বরং আরও মাস দেড়েক অন্ধকারেই ঢেকে থাকছে ক্লাব প্রশাসন। শীর্ষকর্তা জানালেন, ‘কোয়েসের সঙ্গে সরকারি বিচ্ছেদ কিংবা ইনভেস্টর নিয়ে এখনই কথা বলার সময় আসেনি। গত আড়াই মাসে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। তাই নতুন স্পনসর ঘোষণা করতে মাস দেড়েক তো লাগবেই।’
লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তাদের পক্ষে স্বস্তির বিষয় হল, নতুন কোম্পানির ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানোর জন্য ফেডারেশন নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ দেয়নি। এখন প্রশ্ন, সরকারি বিচ্ছেদের ব্যাপারে দুই পক্ষের আইনজীবীরা যদি ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারেন, তবে কী হবে? লাল-হলুদ কর্তারা তখন কোয়েসের তিনটি চিঠিকে ‘বিচ্ছেদ’ হিসেবে গণ্য করার জন্য দরবার করতে পারেন। এগুলি হল ২০১৮ সালের চুক্তি (যেখানে বলা হয়েছিল, তৃতীয় মরশুমের মধ্যে কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল আইএসএল খেলবে), ২০১৯ সালের ২৭ মে কোয়েসের চিঠি (এখানে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের ৩১ মে’র পর আমরা ফুটবল টিমের ব্যাপারে থাকছি না) এবং ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি কোয়েস কর্পের তৎকালীন সিইও সুব্রত নাগের চিঠি। ওই পত্রে সুব্রতবাবু ফুটবল রাইটস ক্লাবের কাছে ১ জুন ফিরে আসছে বলে জানিয়েছিলেন। ক্লাব কোয়েসের চিঠি হাতিয়ার করলে ফেডারেশন অজিত আইজ্যাকদের কাছে পাল্টা ব্যখা চাইতে পারে। এছাড়া আরও একটি অপশন থাকছে ইস্ট বেঙ্গলের কাছে। তা হল সরাসরি আদালতে গিয়ে বলা ২০১৮ সালের চুক্তি মতো তৃতীয় মরশুমে (এখানে ২০২০-২১) আইএসএলের খেলার ব্যবস্থা করা। তবে লকডাউনের মধ্যে আদালতে যাওয়া বেশ ঝক্কির। সোমবার বিকেলেও ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা আশাবাদী, যৌথ বিবৃতি দিয়েই হবে কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদ।
ক্লাব প্রশাসনে এখন অনেক জট। জুনের শেষেই শুরু হবে এএফসি’র লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া। চলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। হাতে সময় থাকলেও ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে জানাতে হবে কোন কোম্পানির নামে তাঁরা ২০২০-২১ মরশুমে খেলতে চাইছে? ফেডারেশনকে দিতে হবে কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের সরকারি বিচ্ছেদের কপি। ১৫ এপ্রিল নাগাদ দু’পক্ষের মুখোমুখি বসার কথা ছিল। লকডাউনের জন্য যা সম্ভব হয়নি। এখন চলছে বিচ্ছেদের কাগজপত্র তৈরি নিয়ে ই-মেল চালাচালি। এদিকে, ফেডারেশন লাইসেন্সিং বিভাগের প্রধান চিঠি দিয়ে পুরো ব্যাপারটি ইস্ট বেঙ্গলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সোমবার দুপুরে ক্লাবের পক্ষ থেকে ই-মেল মারফত জানিয়ে দিয়েছে,‘দু’পক্ষের আইনজীবীদের কথাবার্তা চলছে। সময় লাগবে প্রায় দুই সপ্তাহ।’