‘নরবলি দিতে হবে, তাহলেই বিদায় হবে করোনা’, এমনটাই নাকি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। আর সেই আদেশ অনুসরণ করেই মন্দিরের ভিতর কুড়ুল দিয়ে এক ব্যক্তির মাথা কাটলেন পুরোহিত। শুধু তাই নয়, সেই কাটা মুণ্ডু সামনে রেখে পুজোও দিলেন। পুরোহিতের বক্তব্য, ‘ভগবান তুষ্ট হবে। করোনা মহামারী থেমে যাবে।’
এই গা শিউরে ওঠা ঘটনাটি ঘটেছে উড়িষ্যার কটকে। নরসিংহপুর থানা এলাকায় বাঁধহুদা গ্রামের কাছে একটি স্থানীয় মন্দিরে। সংসারী ওঝা নামে সংশ্লিষ্ট মন্দিরেরই সত্তোরোর্দ্ধ পুরোহিতের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে বুধবার রাতে। সূত্রের খবর, মৃতের নাম সরোজকুমার প্রধান। বয়স ৫২। মন্দিরের ভিতর থেকে সেই কুড়ুলটি উদ্ধারও করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন সকালে পুরোহিত থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, ঈশ্বরের স্বপ্নাদেশেই তিনি নরবলি দিয়েছেন। তবে ৭২-এর সংসারী ওঝার কথা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, বহুদিন ধরেই পুরোহিত সংসারী ওঝার সঙ্গে সরোজের বিবাদ চলছিল একটি আমবাগান নিয়ে। ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন পুরোহিত। একবিংশ শতকেও যে এরকম পিশাচযোগ্য কাজ হতে পারে, তা ভেবেই হতবাক স্থানীয়রা।
কটকের ডিআইজি (সেন্ট্রাল রেঞ্জ) আশিসকুমার সিংহ জানিয়েছেন, ‘মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ঘটনার সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন সংসারী ওঝা। পরের দিন সকালে তাঁর হুঁশ ফিরলেই পুলিশের কাছে এসে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন সংসারী ওঝা।’