একটা সিটে কোথাও চার জন, কোথাও পাঁচ জন। করিডোরে শুয়ে যাত্রীরা। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে হাওড়াগামী শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের কামরার ভিতরের অবস্থা দেখলে ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরা বলে ভুল হতে পারে। রাত দশটা নাগাদ ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরে বাংলার এক শ্রমিক একটি ভিডিও করেন। সেখানেই দেখা গেছে এই দৃশ্য।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁরা ট্রেনে ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না। যেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলছে সেখানে এই কামরায় পাখা পর্যন্ত চলছিল না। ফলে গরমে হাঁসফাস অবস্থা হচ্ছিল শ্রমিকদের। রেল জানিয়েছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য একটি আসনে সর্বাধিক দু’জন বসবেন। বাস্তবে দেখা গেছে যে তিনজনের আসনে গাদাগাদি করে চার থেকে পাঁচ জন বসেছেন। ফলে শোয়ার জায়গা ছিল না। অনেকে বাধ্য হয়ে কামরার মেঝেতে শুয়ে রাত কাটিয়েছেন।
এখন সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলছে না। দেশজুড়ে লকডাউন চলায় প্ল্যাটফর্মে খাবার মিলবে না। তাছাড়া এই ট্রেনগুলি মূলত নন-স্টপ। যে রাজ্যে শ্রমিকরা ফিরছেন সেই রাজ্যে সর্বাধিক তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামতে পারে। বাস্তবে একটি স্টেশনেই ট্রেন থামছে। যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে ট্রেনে তাঁরা খাবার পর্যন্ত পাচ্ছেন না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘একটা কামরায় ৭২ জনের বদলে ৯০ জন করে তুলে দিয়েছিল। কারও থার্মাল স্ক্রিনিং পর্যন্ত করা হয়নি।’
প্রত্যেক শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ট্রেনে তোলার কথা থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। ফলে কোনও শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে দীর্ঘ সময় ধরে একই কামরায় থাকার ফলে অনেকের সংক্রামিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই তাঁরা এরাজ্যে এলে চিন্তা থেকে যাবে প্রশাসনের।