লাদাখ সীমান্তে ভারতের তরফে সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি করা হতেই সুর নরম করল চীন। বুধবার সকাল থেকেই লাদাখের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তথা এলএসি বরাবর সেনা সমাবেশ বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভারতের এই পদক্ষেপের পরেই বেজিংয়ের তরফ সমঝোতার বার্তা দেওয়া হয়। তবে সমঝোতার বার্তা শুধু নামেই দেওয়া হয়েছে।চীনের তরফে পরিস্থিতি বদলায়নি কিছুই।
ভারত-চীন সীমান্ত হিসেবে যা গণ্য হয়, লাদাখে সেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে সম্প্রতি। চলতি মাসেই প্রথমে লাদাখে এবং পরে উত্তর সিকিমের নাকু লা অঞ্চলে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল ভারত ও চীনের বাহিনী। তার পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এলএসি বরাবর চীন বিপুল সৈন্য সমাবেশ শুরু করার পরে। চীন বাহিনী বাড়াচ্ছে দেখে ভারতও পাল্টা সেনা সমাবেশ শুরু করেছে গালওয়ান উপত্যকায়। তার মাঝেই সামনে এসেছে উপগ্রহ চিত্র, যাতে দেখা গিয়েছে যে, তিব্বতের এক বিমানঘাঁটিতে দ্রুত পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে চীন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর এলএসিতে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবারই সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্তাদের ডেকে বৈঠক করেন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-ও নিজের বাহিনীকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেন।
পরিস্থিতি যে যথেষ্ট গুরুতর, তা বুঝতে আন্তর্জাতিক মহলের অসুবিধা হচ্ছে না। ফলে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক শক্তি আমেরিকাও মধ্যস্থতায় আসতে চাইছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ দিন টুইট করেছেন ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা ভারত ও চীন উভয়কেই জানিয়েছি, তাদের সীমান্তে এখন যে সমস্যা চলছে, তার মধ্যস্থতা ও মিমাংসা করতে আমেরিকা প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম।’’