করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গত ২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশজুড়ে চলছে একটানা লকডাউন। যার ফলে বন্ধ কল-কারখানা। স্তব্ধ গণপরিবহণ ব্যবস্থা। এর এতেই চরম দুর্ভোগে দেশের সাধারণ মানুষ। বারবার বলা সত্বেও কর্ণপাত করছে না মোদী সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখ, যন্ত্রণা, কান্না দেখতে পাচ্ছে গোটা দেশ। কিন্তু তা চোখে পড়ছে না বিজেপির। বৃহস্পতিবার ‘স্পিক আপ ইন্ডিয়া’ নামের সোশ্যাল মিডিয়া অভিযানের শুরুতে এমনটাই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তাঁর অভিযোগ,
প্রত্যেকদিন নিজের রাজ্যে, নিজের বাড়ি ফেরার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা যে কষ্ট করছেন তা গোটা দেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি সরকার হয়তো তা দেখতে পাচ্ছে না।
লকডাউনের জেরে দেশের সাধারণ মানুষ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরার আবেদন নিয়ে ‘স্পিক আপ ইন্ডিয়া’ নামের এই প্রচারাভিযান শুরু করে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার পূর্বঘোষিত এই অভিযানের সূচনা করেন দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেখানেই তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষে সাধারণ মানুষকে এত কষ্ট কোনওদিন পেতে হয়নি। কোনওদিন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে এভাবে খালি পায়ে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়নি। অথচ, শ্রমিকদের এই কষ্ট, এই বেদনা, বিজেপির দৃষ্টিগোচর হয় না। কংগ্রেস সভানেত্রী এদিন কেন্দ্রের কাছে দেশের গরিব মানুষদের জন্য একাধিক দাবি পেশ করেন। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল দেশের গরিব পরিবারগুলিকে এককালীন অর্থ সাহায্য।
কংগ্রেসের দাবি, গরিব পরিবারগুলিকে এখনই এককালীন ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। শুধু তাই নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস যে ন্যায় প্রকল্প ঘোষণা করেছিল, সেই ধাঁচে মাসে মাসে পরিবারপিছু সাড়ে সাত হাজার টাকা করে অনুদান দিতে হবে কেন্দ্রকে। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসের এই নয়া প্রচারাভিযানে দীর্ঘদিন বাদে একসঙ্গে দেখা গেল দলের নবীন এবং প্রবীণ ব্রিগেডকে। তরুণ ব্রিগেডের নেতা রোহন গুপ্তার নেতৃত্বাধীন এই অভিযানে বক্তব্য রাখতে দেখা গেল প্রবীণ ব্রিগেডের মতিলাল ভোরা থেকে শুরু করে পি চিদম্বরম পর্যন্ত বহু নেতাকে। রাহুল ব্রিগেডের নেতাদের মধ্যে গৌরব গগৈ থেকে শুরু করে জিতিন প্রসদাদেরও দেখা গেল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে। বিভিন্ন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের পাশাপাশি অন্যান্য প্রভাবশালী নেতারাও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের দাবি তুলে ধরতে সচেষ্ট হন।