গত বুধবার নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকেই উম্পুনের গতি-প্রকৃতির ওপর নজর রেখেছিলেন তিনি। আর ওই অতি প্রবল সাইক্লোন রাজ্যে মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালানোর পরই দ্রুত তার মোকাবিলার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে যেমন মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং ত্রাণ-পুনর্গঠনে হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছেন। তেমনি কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকও করেছেন। এবার উম্পুন-বিধ্বস্ত বাংলায় ৮০ শতাংশ এলাকায় জরুরি পরিষেবা পুনর্গঠন ও তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রায় বেশিরভাগ শহর এলাকাতেই জরুরি পরিষেবাগুলি শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলোতেও খুব তাড়াতাড়ি পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সমস্ত হাসপাতাল, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, জল সরবরাহ কেন্দ্র, সেচ ও নিকাশি ব্যবস্থা, পাম্পিং সিস্টেম, পাওয়ার সাবস্টেশন সবই কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। দিনরাত এক করে কাজ করে পরিষেবা চালুর জন্য গতকাল বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মীদের তিনি ‘স্যালুট’ জানান। তাঁর কথায়, সেনা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও উড়িষ্যা সরকারের সঙ্গে একযোগে উদয়অস্ত লাখ লাখ সরকারি কর্মী কাজ করেছেন। এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় দ্রুততার সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ, জল সরবরাহ, রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছ কাটা, ত্রাণ বিলি, পরিকাঠামো পুনর্গঠন সম্ভব হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কতজন করে কাজ করেছেন, তার একটি তালিকাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে মোট ২ লাখ ৩৫ হাজারের উপর কর্মী কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।