প্রাপ্য মোট ৫৩ হাজার কোটি টাকা। অথচ উম্পুন বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শনে এসে মাত্রা এক হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা করলেও, মহাদুর্যোগের পর ওই অনুদান নগন্য বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। এবার এ নিয়েই রাজ্যের তরফে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ৩০০ বছরের মধ্যে এমন বড় দুর্যোগ আসেনি বাংলার বুকে। উম্পুনের মতো ভয়ঙ্করতম দুর্যোগের পরও কেন্দ্রের মোদী সরকার রাজ্যের পাওনা নিয়ে নীরব থেকেছে।
এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পর রাজ্যের কত ক্ষতি হয়েছে, এখনই সে হিসেবে না দিতে পারলেও, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা কত, সেই হিসেব দিলেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, মহাদুর্যোগের পরও প্রধানমন্ত্রী মোদী যেখানে ১ হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়ে যান, সেখানে রাজ্যের পাওনা বিশাল অঙ্কের টাকা। এই সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে বকেয়া পাওনা টাকার কিছু অংশ দিলেও অনেক লাভ হত বলে দাবি ব্রাত্য বসুর। এই মর্মেই কোন খাতে কত টাকা পাওনা তিনি তা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৩৬ হাজার কোটি। কেন্দ্রীয় কর বাবদ রাজ্য পায় ১১ হাজার কোটি। ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত জিএসটি বাবদ প্রাপ্য ৩ হাজার কোটি। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্প বাবদ প্রাপ্য আরও ৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দাঁড়ায় মোট ৫৩ হাজার কোটি টাকা। করোনা মহামারী, তারপর উম্পুনের তাণ্ডবের পরও যার কিয়দংশ মেলেনি। ব্রাত্যর অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েই দায় ঝেড়ে ফেলতে চায় কেন্দ্র। তবে এভাবে বাংলার প্রতি বৈমাতৃসুলভ আচরণ করে যে রাজ্যের উন্নয়ন দমিয়ে রাখতে পারবে না কেন্দ্র, সে কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।