করোনার প্রভাবে আর্থিক মন্দার কারণে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভারতের ৪০ শতাংশ পর্যটন সংস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে বিওটিটি ট্রাভেল সেন্টিমেন্ট ট্র্যাকার। ওই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮১ শতাংশ ট্রাভেল ও পর্যটন সংস্থা ইতিমধ্যে তাদের ১০০ শতাংশই আয় হারিয়েছে। এর ফলে মোট সংস্থাগুলির ৩৮.৬ শতাংশ চাকরি ছাঁটাই ইতিমধ্যেই করেছে। বাকিরাও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে সেই পথে হাঁটতে চলেছে বলে জানিয়েছে সাতটি জাতীয় সংগঠনের সহযোগিতায় করা ওই সমীক্ষা।
আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রাভেল ও পর্যটন সংস্থা পাকাপাকি ঝাঁপ বন্ধ করে দিতে পারে। আরও ৩৬ শতাংশ সংস্থা সাময়িক ব্যবসা বন্ধ রাখার পথে হাঁটার কথা বিবেচনা করছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। করানা-লকডাউনের জেরে দেশের ৮১ শতাংশ ট্রাভেল ও পর্যটন সংস্থারই আয় শূন্য হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ৭৫ শতাংশ আয় কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ সংস্থার। অনলাইনে করা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২,৩০০-র বেশি ট্রাভেল ও পর্যটন সংস্থার মালিক এবং প্রতিনিধিরা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারী ট্রাভেল ও পর্যটন ক্ষেত্রের উপর বিরাট অভিশাপ নিয়ে এসেছে। আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আরও ৩৫.৭ শতাংশ সংস্থা সাময়িক ব্যবসা বন্ধ করার রাস্তায় যেতে পারে। ট্রাভেল ও পর্যটন ক্ষেত্র খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কোভিড- ১৯ সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে এবং ট্রাভেল ও পর্যটন ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি চলে যেতে পারে।’ এ ছাড়া কর্মীদের বেতন কমে যাওয়া, দেরিতে বেতন পাওয়ার আশঙ্কাও তীব্র।
ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র সভাপতি জ্যোতি মায়াল বলেন, ‘এই নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত কয়েক হাজার সংস্থাকে বাঁচাতে ত্রাণ জোগানো।’ ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭৩ শতাংশ ট্রাভেল সংস্থা কর্মীদের পে-কাট, বেতন দিতে বিলম্ব এবং কাজের চুক্তি বাতিল করেছে। প্রায় ৪৯ শতাংশ সংস্থা মূলধনী খাতে ব্যয় পিছিয়ে দিয়েছে। তবে এত কিছুর মধ্যেও ৪১.৬ শতাংশ সংস্থা একগুচ্ছ নয়া পরিষেবা নিয়ে এসেছে।