লকডাউনে কেবল আর্থিক ক্ষতি হয় না। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থারও সংকট দেখা দেয়। করোনায় আক্রান্ত নন এমন রোগীদের চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়। কয়েকদিন আগেই টুইট করে একথা বলেছিলেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। সোমবার তিনি ফের টুইট করে বললেন, লকডাউন আরও বাড়ানো হলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে।
এই প্রসঙ্গে মাহিন্দ্রা লিখেছেন, ‘নতুন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এখন টেস্ট হচ্ছে আরও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই করোনা পজিটিভের সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সংক্রমণের সংখ্যা কম। আমরা আশা করতে পারি না, দ্রুত সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে।’ এর পরে মাহিন্দ্রা লিখেছেন, ‘ভারতীয়রা যৌথভাবে লড়াই করে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঠেকিয়েছে। ভারতে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে করোনায় মারা গিয়েছেন ১.৪ জন। বিশ্ব জুড়ে গড়ে ১০ লক্ষ মানুষে মৃত্যুর হার ৩৫। আমেরিকায় ওই হার ২২৮। আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে।’
গত ২৫ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউন জারি হয়। তার আগে, ২২ মার্চ মাহিন্দ্রা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, দেশ জুড়ে ৪৯ দিন লকডাউন জারি করা হোক। তখন একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ভারত সম্ভবত করোনা সংক্রমণের স্টেজ থ্রি-তে পৌঁছে গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই শিল্পপতি লকডাউন করার কথা বলেন।
মে মাসের শুরুতে মাহিন্দ্রা বলেছিলেন, ভারত যদি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ায় তাহলে ‘ইকনমিক হারাকিরি’ করা হবে। অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে তা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। শিল্পপতির মতে, লকডাউনে কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো যাবে ঠিকই, কিন্তু একইসঙ্গে তা সমাজের দুর্বলতর শ্রেণিগুলিকে বিপদে ফেলবে।