২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর যে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল, তা সফল করতে সন্ত্রাসবাদীরা ৫০০ জিলাটিন স্টিক সংগ্রহ করেছিল, স্থানীয় বাজারের ছোট দোকান থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং অ্যামোনিয়াম পাউডার জোগাড় করেছিল। সামরিক কাজে ব্যবহৃত আরডিএক্স চোরাপথে এনেছিল সীমান্ত পার থেকে। এই তথ্যই জানা গিয়েছে পুলওয়ামা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তদন্তকারী আধিকারিকদের থেকে।
এক কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলওয়ামা বিস্ফোরণের জন্যে ব্যবহৃত বিস্ফোরক জোগাড় করেছিল জৈশ-এ-মহম্মদের কমান্ডার মুদাসির আহমেদ খান, ইসমাইল ভাই ওরফে লম্বু, সমীর আহমেদ দার এবং শাকির বশির মাগরে। এরা জেলাটিন স্টিক জোগাড় করেছিল খ্রিউ, খুনমোহ, ত্রাল, অবন্তিপোরা এবং লেথপোরা অঞ্চলের বিভিন্ন খনি ব্লক থেকে। প্রায় ৭০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং অ্যামোনিয়াম পাউডারও স্থানীয় এলাকা থেকে জোগাড় করেছিল তারা। কিছু পরিমাণে অ্যামোনিয়াম পাউডার আবার অর্ডার করেছিল জৈশ সদস্য ওয়াইজ-উল-ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এনআইএ-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা ইতোমধ্যে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছেন। পুলওয়ামা হামলার ছক কষা মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তাদের মধ্যে রয়েছে মাগরে, মহম্মদ আব্বাস রাথের, ওয়াইজ-উল-ইসলাম, ইনশা জান এবং তার বাবা তারিখ আহমদ শাহ। এদের সবাইকে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ ও মার্চের প্রথম সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও তদন্তে দেখা গিয়েছে পুলওয়ামা চক্রান্তে যোগ ছিল জৈশ-এ-মহম্মদের। তাদের মধ্যে প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই আব্দুল রাফু আসগার।