শুক্রবার সকালে ১০০ জন যাত্রী নিয়ে করাচির কাছে ভেঙে পড়েছিল পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান (পিআইএ) সংস্থার একটি বিমান। ৯১ জন যাত্রী ও ৮ জন বিমানকর্মীকে নিয়ে করাচি বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে এ-৩২০ বিমানটি। করাচির একটি আবাসিক এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় প্রাণ হানি হয়েছে প্রায় ৯৭ জনের।
যদিও শুক্রবার দুর্ঘটনা ঘটার পর ৭৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। শনিবার সকাল পর্যন্ত আরও ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ওই বিমানটির দুই যাত্রী। তাঁরা আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিমানবন্দরের খুব কাছে ঘনবসতিপূর্ণ জিন্না গার্ডেন এলাকার একটি আবাসনের উপর ভেঙে পড়ে ওই বিমানটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগে বিমানটি একটি মোবাইল টাওয়ারে ধাক্কা মারে। জানা গিযেছে, ওই বিমানে মোট ৯১ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন ৩১ জন মহিলা। সেই সঙ্গে ছিলেন আট জন বিমানকর্মীও। এঁদের মধ্যে মোট ১৯ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই বিমানটিতেই ছিলেন ব্যাঙ্ক অব পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট জাফর মাসুদ ও মহম্মদ জুবের নামে এক ইঞ্জিনিয়র। আশ্চর্যজনক ভাবে ওই দু’জন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। মাসুদের শরীরের চার জায়গায় হাড় ভেঙেছে। অন্য দিকে দুর্ঘটনায় শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছে জুবেরের। তবে দু’জনেই হাসপাতালে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।