এর আগে নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আরও বেশি মানুষকে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্য সামাজিক প্রকল্পকেও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্যবহার করতে নির্দেশ দিলেন তিনি। মমতার কথায়, ‘করোনার মধ্যেও মানুষকে আয়ের পথ বের করে দিতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার বৈঠকে বসেছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়েই হাজির হয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘করোনার মধ্যেই গ্রাম বাংলার জাগরণ ঘটাতে হবে।’
করোনা-লকডাউন মুহূর্তে শহরের তুলনায় গ্রামের মেরুদণ্ডকে দ্রুত মজবুত করতে হবে। শহরে যে তুলনায় বেশি সময় দরকার, তা মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার মধ্যেই গ্রাম বাংলার অর্থনীতি চালু করতে হবে। আমরা চাইছি দোকানপাট খুলুক। আগামীদিনে আরও দোকানপাট খুলবে। ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে। বেশি করে লোককে কাজের সুযোগ করে দিতে হবে।’ তবে একই সঙ্গে ‘সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ও মাস্ক পরার’ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মৎস্য বা সেচ দফতরের কাজ শুরু করতে যে কোনও অসুবিধা নেই তা আজ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর আগে আবাস যোজনা এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজ শেষ নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যমুখী পরিযায়ী শ্রমিকদেরও ‘এই রাজ্যেই কাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে’ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই দিন কয়েক আগে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প শুরু হয়েছে রাজ্যে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুরু হয়েছ কাজ। ইতিমধ্যে ওই প্রকল্পে বহু নতুন লোক কাজ চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, নিজেকে এলাকার বাসিন্দা প্রমাণ করতে পারলেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অংশ নেওয়া যাবে। কার্ড না থাকলে তা তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।