দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে গত ২২ মার্চ, অর্থাৎ জনতা কার্ফুর দিন থেকেই বন্ধ হয়েছিল আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। তবে দেশের মধ্যে চালু ছিল পণ্যবাহী বিমান। সরকারের অনুমতি নিয়েই এই সব বিমান চালানো হচ্ছিল। সেই ভাবেই লকডাউনের মধ্যে করোনার আঁতুরঘর চীন থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছল সুরক্ষা সামগ্রী ভর্তি একটি বিমান। মূলত মাস্ক তৈরির সামগ্রী আনা হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।
শনিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে স্পাইস জেটের একটি পণ্যবাহী বিমান। তাতে ১০ টন করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সুরক্ষা সামগ্রী আনা হয়েছে। তার মধ্যেও সিংহভাগই মাস্ক তৈরির সামগ্রী। রাতেই সেই পণ্য খালাস করা হয়েছে। গত মাসেও এই স্পাইস জেটের বিমানেই চীন থেকে জরুরি ভিত্তিতে কলকাতায় আসে প্রচুর ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। এই থার্মোমিটারগুলিই করোনা ভাইরাসের সন্দেহে থার্মাল স্ক্রিনিং করার কাজে লাগানো হচ্ছে।
গত ১৫ এপ্রিল স্পাইস জেটের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, চীনের সাংহাই থেকে হায়দ্রাবাদে এই প্রথম বি৭৩৭ কার্গো চিকিৎসা সামগ্রী পরিবহণের কাজ শুরু করেছে সংস্থা। ওই বিবৃতিতে সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিংহ বলেছিলেন, ‘আজ (১৫ এপ্রিল) চীন থেকে জরুরি মেডিক্যাল সামগ্রী পরিবহণের জন্য চিন থেকে স্পাইসজেটের কার্গো বিমান চালু হল। সাংহাই ছাড়াও সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা থেকেও পণ্যসামগ্রী আনার কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া হংকং, আবুধাবি, হো চি মিনের মতো শহরের মধ্যে স্বাভাবিক পণ্য পরিবহণ বিমান চলছে।’
লকডাউন চালু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়েই দেশের মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহী বিমানে পণ্য পরিবহণ শুরু করে স্পাইস জেট। কার্গো কেবিন ছাড়া যাত্রীদের বসার আসনে করে প্রথম পণ্য পরিবহণ হয় দিল্লী থেকে চেন্নাই। তারপর থেকে দিল্লী, কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বই-সহ দেশের সব শহরেই এই ভাবে জরুরি পণ্য পরিবহণ চালাচ্ছে এই সংস্থা। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর থেকে ভারতে এসেছে ১০ লক্ষ পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট বা পিপিই। গত দু’দিন ধরে দু’টি এয়ার ইন্ডিয়া ও একটি ব্লু ডার্ট-এর বিমানে এই সব সামগ্রী দেশে এসেছে বলে সিঙ্গাপুরে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।