একেই অর্থনীতির বেহাল দশা ছিল। তার উপর করোনার প্রভাবে এই দীর্ঘ লকডাউন। এই অবস্থায় উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র সমীক্ষা জানাল, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ছুঁয়ে ফেলেছে ২৬.২%। কর্মসংস্থান ফেব্রুয়ারির ৪০% থেকে এক ধাক্কায় নেমেছে ২৬ শতাংশে। সিএমআইই-র দাবি, এপ্রিলের এই ক’দিনে কর্মসংস্থানের হার ১৪ শতাংশ বিন্দু কমা অভূতপূর্ব ঘটনা। যার অর্থ, লকডাউনে দেশের ১৪ কোটি মানুষ কাজ খুইয়েছেন।
বেকারত্বে গ্রাম এবং শহরে কোনো ফারাক নেই। কর্মহীনতা বেড়েছে সর্বত্র। তবে বেকারত্বের কামড় গ্রামেই বেশি তীব্র। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, করোনার সঙ্গে লড়াই করতে লকডাউন ছাড়া পথ নেই। কিন্তু সকলেরই চিন্তা, লকডাউনের চার সপ্তাহ কাটতে না-কাটতেই কাজের বাজারের ছবিটা যে রকম ভয়ঙ্কর, এরপর কি হবে!
করোনা-সঙ্কট যোঝার এই কঠিন সময়ে কাউকে ছাঁটাই না-করার আর্জি জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রায় সবক’টি সর্ব ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নের দাবি, লকডাউন শুরুর পর থেকেই কর্মী ছাঁটাইয়ের বিপুল সংখ্যক অভিযোগ আসছে। বিশেষত ছোট-মাঝারি শিল্পের প্রশ্ন, সরকার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে না-হাঁটার কথা বলেছে ঠিকই। কিন্তু এই প্রবল সঙ্কটে ছোট শিল্প কোন রসদে বেঁচে থাকবে, তা কোনো ভাবেই স্পষ্ট নয়।