কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পা রাখার মাত্র পনেরো মিনিট আগে তা নবান্নকে জানানো হলেও বাংলার করোনা-পরিস্থিতি দেখতে আসা কেন্দ্রীয় দলকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সে কথা রেখেছে রাজ্য৷ তবে এবার রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের করোনা-পর্যবেক্ষক দলের জন্য আর কিছু করার নেই বলে বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব। তাঁর কথায়, ‘যা সহযোগিতা করার, আমরা করেছি। ওঁরা এলাকা দেখতে চেয়েছিলেন, দেখানো হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিবের কাছে প্রেজেন্টেশন চেয়েছিলেন। তা-ও করা হয়েছে। যা তথ্য দেওয়ার দেওয়া হয়েছে। এর পর আর কিছু আমাদের তরফে দেওয়ার নেই। কেন্দ্রীয় দল এর পর তথ্য চাইলে ইমেল করবেন। পাঠিয়ে দেব।’
কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলটি গতকাল প্রথমে যায় রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। সুপারের সঙ্গে আলোচনা সেরে এক ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা। সেখান থেকে তাঁরা যান এম আর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানেও ঘণ্টাখানেক ছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাঁদের রোগীদের কাছে যাওয়ার নিয়ে আপত্তি করেন। কেন্দ্রীয় দল জোরাজুরি করলে শেষ পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। বাঙুরে আইসোলেশন ওয়ার্ড, আইসিসিইউ ঘুরে দেখেন তাঁরা। ওই হাসপাতালের পাশের বাড়িতে করোনা পজিটিভ এবং উপসর্গ থাকা রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। সেখানে মর্গেও যায় পরিদর্শক দল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বাঙুরে কত ভেন্টিলেটর রয়েছে, পরীক্ষার জন্য দিনে কত নমুনা পাঠানো হচ্ছে, সেখানে কত জন মারা গিয়েছেন, দেহ কী ভাবে সৎকার হচ্ছে ইত্যাদি একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন প্রতিনিধিরা। রোগীদের কাছ থেকে জানতে চান, তাঁরা বিদেশে গিয়েছিলেন কি না। কোথা থেকে তাঁদের সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের দলটি গতকাল বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া আবাসন কমপ্লেক্সে গিয়ে সেখানে কত জন থাকেন এবং খাবারের জোগান বিষয়ে খোঁজ নেয়। এর পরে দলটি যায় শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনের কাছে বাণীমন্দির স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জায়গায়।