কদিন আগেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন বুধবার দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দেবে লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বে কোন কোন সেক্টরে কাজ চালু করা যাবে ৷ কারণ সারা দেশে কমপ্লিট লকডাউনের জেরে অর্থনীতি কার্যত থেমে গেছে ৷ এই অবস্থায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা ফের যাতে কাজে যোগ দিয়ে ফের নিজেদের পেট চালানোর ব্যবস্থা করতে পারেন তার দিকেও নজর দিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে পাশাপাশি লড়াই চালাতে হচ্ছে মারণ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইতে ৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিল গ্রামীণ এলাকায় মাল প্রসেসিং, ম্যানফ্যাকচারিং ইউনিট, শিল্প ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হল ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গ্রাম্য এলাকায় কনস্ট্রাকশন কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে ৷ শহরাঞ্চলে কনস্ট্রাকশন জারি রাখা যাবে তখনই যখন কর্মরত শ্রমিকরা অনসাইটেই যদি থাকেন ৷
যারা নিত্যআবশ্যিক পণ্য তৈরি করে যেমন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রডাক্ট লকডাউনে সামনের দিনে সেখানে কাজ জারি থাকবে৷ মহাত্মা গান্ধী এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টে কর্মীরা যেখানে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে কাজ হয় সেখানে কাজ করতে পারবে৷ সেচ ও জল সংরক্ষণের সঙ্গে যারা কাজ করেন তারাও কাজ জারি রাখতে পারবেন৷
একনজরে দেখে নিন কোন কোন সেক্টরে কাজ করবে – ১) সামাজিক দূরত্ব মেনে ১০০ দিনের কাজ। ২) ২০ এপ্রিলের পর কৃষিতে ছাড়। ৩) ২০ এপ্রিলের পর ওষুধ উৎপাদনে ছাড়। ৪) ২০ এপ্রিলের পর গ্রামীণ এলাকায় শিল্পক্ষেত্রে ছাড়। ৫) নির্মাণকার্যে ছাড় ২০ এপ্রিলের পর। ৬) ইটভাটা খোলা যাবে ২০ এপ্রিলের পর। ৭) তেল শোধনাগারে কাজ শুরু ২০ এপ্রিলের পর।