গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ২০ এপ্রিল পর্যন্ত হটস্পট স্থানগুলিকে নজরদারিতে রাখা হবে। এরপর আজ বুধবার কেন্দ্রের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যেখানে কিছু বিধিনিষেধের উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দ্বিতীয় পর্বের লকডাউনে বেশকিছু সেক্টরে কাজ শুরুর জন্য শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেওয়া হলেও বেশ কিছু সেক্টরে ৩ মে পর্যন্ত কড়াভাবে মানা হবে লকডাউন। তাতে রয়েছে সিনেমাহল, জিমনেসিয়াম, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মতো ১৩ ক্ষেত্র। সারা দেশে লকডাউনের জেরে মদ্যপায়ীরা দীর্ঘসময় ধরে সমস্যায় ভুগছেন৷ প্রচুর মানুষ উইথড্রল সিনড্রোমের মধ্যে দিয়েও যাচ্ছেন কিন্তু অ্যালকোহল সংক্রান্ত শিল্প বা বার খোলার কোনও এখনও পরিকল্পনা নেই৷ ফলে সেখানেও থাকবে কমপ্লিট লকডাউন৷ বন্ধ থাকবে সিনেমাহলও৷
৩ তারিখ অবধি বন্ধ থাকবে সমস্ত দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ কোচিং ক্লাসও নেওয়া যাবে না৷ সমস্ত দেশে সমস্ত ধরণের ট্র্যাভেল বন্ধ থাকবে৷ ৩ তারিখ অবধি চলবে না কোনও ট্রেন, কোনও প্লেন৷ দেশের অভ্যন্তরে সমস্ত মুভমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় যে ১৩টি নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ রয়েছে সেগুলি হল-
১। লক ডাউন চলাকালীন সমস্ত আন্তর্জাতিক ও অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা বাতিল, নিরাপত্তা ক্ষেত্র ব্যতীত। ২। নিরাপত্তা ক্ষেত্র বাদে সবধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ। ৩। বাস পরিষেবা বন্ধ সম্পূর্ণভাবে। ৪। মেট্রো রেল পরিষেবা বন্ধ। ৫। চিকিৎসার কারণ ব্যতীত আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য পরিবহণ বন্ধ। ৬। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার বন্ধ। ৭। বিশেষ কিছু ক্ষেত্র বাদে সমস্ত শিল্পক্ষেত্র ও বাণিজ্যকেন্দ্র বন্ধ। ৮। কিছু বিশেষ ক্ষেত্র বাদে সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ। ৯। ট্যাক্সি, অটোরিকশা, সাইকেল রিকশা পরিষেবা বন্ধ। ১০। সমস্ত সিনেমা হল, শপিং মল, শপিং কমপ্লেক্স, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, থিয়েটার, বার বা অন্যান্য বিনোদন ক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। ১১। জন সাধারণের জন্য সমস্ত ধর্মীয় স্থান বন্ধ। ধর্মীয় কারণে জমায়েত নিষিদ্ধ। ১২। সামাজিক, রাজনৈতিক, খেলাধুলা বা যে কোনও কারণে জমায়েত নিষিদ্ধ। ১৩। কোনও ব্যক্তির শেষকৃত্যে অধিকতম ২০ জন ব্যক্তি সামিল হতে পারবেন। তার বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ।