বান্দ্রার পর এবার সুরাটে। ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা লকডাউনের জন্য আটকে পড়েছেন। তারা কেউ ফিরতে পারেননি বাড়ি! সরকার থেকে বুঝিয়ে যে যেখানে আটকে আছে তাকে সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সব রাজ্যের বর্ডার সিল করা হয়েছিল। প্রথম দফার লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ ১৪ এপ্রিল। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এই লকডাউন বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করেছেন।
এতে শ্রমিকদের মনে ১৪ তারিখের পর বাড়ি ফেরার যে ক্ষীণ আশা বেঁচে ছিল, তাতেও জল ঢেলে যায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পৌঁছে দেওয়া খাবারে কোনওরকম দিন কাটছিল শ্রমিকদের। ঠিক মতো খাবার তো ছিলই না ! ছিল না সঠিক পরিষেবা ! আজ লকডাউন বাড়ানোয় গুজরাতের সুরাটের শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে। ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে এসে আটকে পড়ে তারা। এই লকডাউনের মধ্যেই তারা নিজের বাড়িতে ফিরতে চায়! এই দাবি নিয়ে পথে নামে তারা।
রাস্তায় নেমে শ্রমিকরা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ঠিক মতো খাবার পাচ্ছে না। চারদিন ধরে শুধু জল খেয়ে আছে। এভাবে থাকলে করোনায় তাদের মৃত্যু হবে কিনা তারা জানে না! কিন্তু না খেতে পেয়ে তারা অবশ্যই মারা যাবে। সুরাটে ইউপি, বিহার, রাজস্থান সহ আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে শ্রমিকরা কাজে আসে। তাদের এখন একটাই দাবি তারা দেশে ফিরতে চায়।
গুজরাতের ডিজিপি এই আশঙ্কা করেই চিঠি লিখেছিলেন হোম মিনিস্টারকে। তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘যে শ্রমিকরা লকডাউন খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। লকডাউন না উঠলে তারা বিদ্রোহ করতে পারে।’ এমনকি তাদের জন্য সঠিক খাবারের ব্যবস্থা নেই এ কথাও জানিয়েছিলেন। এমনটাই জানান ডিজিপি! তবে শ্রমিকদের এভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন কতটা সঠিক লকডাউনের পক্ষে? তাদের জন্য সঠিক ব্যবস্থাই বা নেই কেন? এসবই এখন প্রশ্নের মুখে !
এই ঘটনার পর গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক হর্ষ সাঙভি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে সুরাটের ফাকা রাস্তার ছবি শেয়ার করে বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। যারা এখানে আটকে আছে সবাই আমাদের ভাই বোনের মতো । এখন সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে এখানে। আমরা তাদের খাবার থেকে সব কিছুর ব্যবস্থা করছি। সুরাট তাদের আর একটা বাড়ি।’ কিন্তু শ্রমিকদের জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।