রাজ্যের করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় আরও একটি বিশেষ কমিটি গঠন করল সরকার। এই বিশেষ কমিটিকে ‘ডেটা অ্যানালাইসিস সেল’ বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্যভবন। জানা গেছে, কোন এলাকায় বেশি সংক্রমণ ঘটছে, সেই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা, সেখানে আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং সেখানে আরও কী কী পদক্ষেপ করা যায়, সেসব ঠিক করবে এই বিশেষ সেল।
দিন কয়েক আগেই পাঁচ জন চিকিৎসককে নিয়ে আরও একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছিল, যে কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর সমস্ত তথ্য আগে স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাতে হবে। সেখানকার বিশেষ কমিটি আগে সে সব খতিয়ে দেখবে। তার পরে নিশ্চিত করা যাবে, ওই রোগীর মৃত্যুর কারণ করোনার সংক্রমণ কিনা।
সূত্রের খবর, এই সেলে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর অসিত বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গেই এই সেলে যে অন্য সদস্যরা রয়েছেন, তাঁরা হলেন এসএসকেএমের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সুজয় ঘোষ, বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের চিকিৎসক ডক্টর বিমানকান্তি রায়, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব তমালকান্তি ঘোষ, কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জন স্বাস্থ্যবিষয়ক চিকিৎসক দীপ্তকান্তি মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজের জন স্বাস্থ্যবিষয়ক চিকিৎসক প্রমিত ঘোষ, এছাড়া স্বাস্থ্য দফতরের ৩ জন উচ্চ আধিকারিক।
একটি সূত্রের খবর, রাজ্যের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলি থেকে আর যাতে কোনও ভাবেই সংক্রমণ না ছড়ায়, সেদিকে এবার বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। সেই কারণেই এই বিশেষ ডেটা অ্যানালাইসিস সেল গড়া হল। এই সেলের বৈঠক বসবে প্রত্যেক দিন। প্রতিদিন রাজ্যের সমস্ত প্রান্ত থেকে করোনা আক্রান্ত এবং করোনা আক্রান্ত সন্দেহ কত জন ব্যক্তি অসুস্থ, সে সম্পর্কে সমস্ত রকম তথ্য সংগ্রহ করবে এই সেল৷
সেই সব তথ্যের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হবে, এলাকাভিত্তিক কোনও অসুস্থতার ধরন রয়েছে কিনা। যাঁরা অসুস্থ তাঁরা শেষ কতদিনে কত মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন, তাও ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পরিকল্পনা করবেন তাঁরা।