চীনেই প্রথম থাবা বসিয়েছিল করোনা। তারপর এই মহামারীকে সামাল দিয়ে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তারা। ফলে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ সম্পর্কে ভাল রকম ভাবে অবহিত শি জিনপিংয়ের দেশ। আর তা দেখেই করোনা রুখতে চীনকে মাস্ক পাঠানোর বরাত দিয়েছে একাধিক দেশ। কিন্তু সেই মাস্ক পাঠানোয় গাফলতি তো রয়েছেই, পাশাপাশি চীনের তরফে রীতিমতো ঠকানো হচ্ছে বলে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
বুধবার ফিনল্যান্ডের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে চীনে তৈরি ২০ লক্ষ সার্জিক্যাল মাস্ক ও প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার রেসপিরেটর মাস্ক দেশে আমদানি করা হয়েছে। যার একটিও কাজে লাগবে না, কারণ এগুলির মান ঠিক নয়। টরোন্টোর পক্ষ থেকেও একটি টুইট করে বলা হয়েছে, প্রায় ৬২ হাজার মাস্ক বুধবার চিনের পক্ষ থেকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সবই ফেরাতে হয়েছে, কারণ এগুলির মান অত্যন্ত খারাপ। প্রায় ২০ লক্ষ ডলারের এই মাস্ক ফিরিয়ে দিয়েছে সেই দেশ।
স্পেন অর্ডার করেছিল প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টেস্টিং কিট। সরকার জানিয়েছেন, এর মধ্যে ৬০ হাজার টেস্টিং কিট দিয়ে কোনও কাজই করা যাবে না। নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়ছে, মার্চ মাসে প্রায় ৬ লক্ষ টেস্টিং কিট চিন থেকে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই কিট এসে পৌঁছলেও দেখা গিয়েছে এগুলির ফিল্টার ঠিকমতো কাজ করছে না। মানের দিক থেকে এগুলিও খারাপ। সব মিলিয়ে, চীনের এ হেন আচরণে ক্ষুব্ধ বিশ্বের অনেক দেশই।