আজ সকালেই হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপারের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলেছিল। জানা গেছে, বর্তমানে কলকাতার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এর পরেই বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে এখন না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বাংলার মানচিত্র হাতে করে তুলে দেখিয়ে উল্লেখ করেন, রাজ্যে সাত-আটটা জায়গায় সীমাবদ্ধ আছে করোনা সংক্রমণ। অর্থাৎ সেগুলিই এখন রাজ্যের হটস্পট। তার মধ্যেই রয়েছে হাওড়া। সে কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়ার দিকে বেশি করে নজর দিতে হবে।
একইসঙ্গে উল্লেখ করেন, এই মুহূর্তে হাওড়া জেলা হাসপাতাল এড়িয়ে চলা উচিত। অন্য হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে, উল্লেখ করেন সঞ্জীবনী হাসপাতালের কথা। তিনি বলেন, ‘সঞ্জীবনীতে ৩০০টি বিশেষ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে করোনার জন্য। ওখানে চলে যান অ্যাম্বুল্যান্সে করে। ভাববেন না আপনাদের খরচ করতে হবে, সরকার পুরোটাই খরচ করবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি হাওড়া হাসপাতালের মধ্যেই সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে গেছে?
এদিন সকালেই খবর আসে, হাওড়া হাসপাতালের সুপারের শরীরেও মিলেছে করোনা সংক্রমণ। বেলেঘাটা আইডিতে পরীক্ষার পর এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ডাঃ নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে। তার আগে হোম কোয়ারেন্টাইনেই ছিলেন তিনি। দু’দিন আগে করোনার বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর শরীরে। এরপরেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। কিন্তু সুপারের সংক্রমণ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে সুপারের গোটা পরিবারকেই।