রবিবার রাত ৯টায় দেশজুড়ে ৯ মিনিটের জন্য সব লাইট বন্ধ করে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশজুড়ে আচমকা এই আলো নেভালে ও জ্বালালে তার প্রভাবে ভারতে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার। দেশে ব্ল্যাকআউট হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই বিপর্যয় এড়াতে দেশবাসীকে ফ্যান চালিয়ে রাখার পরামর্শ দিলেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর এম কে মাথুর।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক বার্তায় মাথুর জানিয়েছেন, ‘রবিবার রাত ৮.৫৫ মিনিট থেকে ৯.১০ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ মিনিট ফ্যান চালিয়ে রাখুন। তাহলে আলো নেভালেও বিদ্যুতের ঘাটতি খুব বেশি হবে না। ফলে গ্রিড বিপর্যয় রোখা যেতে পারে।’ নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের কিছু ইঞ্জিনিয়ার তো এই সময় এসি বা ফ্রিজ চালিয়ে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন। তাহলে বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে বলেই তাঁদের মত।
এর আগে এসএলডিসি-র কর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা মতো যদি রবিবার রাত ৯টায় দেশের সব বাড়ির আলো নিভে যায় তাহলে বিদ্যুতের চাহিদায় বিরাট ঘাটতি দেখা দেবে। ভারতে গ্রিডগুলির ক্ষমতা হল ৩৭০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ ধরে রাখার, সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৫০ গিগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদায় ঘাটতি দেখা গেলে অতিরিক্ত বিদ্যুতের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যাবে। ফলে পাওয়ার গ্রিডের উপর চাপ পড়বে। আবার ৯ মিনিট পরে যখন সব বিদ্যুৎ একসঙ্গে জ্বলে উঠবে তখন সেই চাহিদার জোগান দিতে গিয়ে পুরো সিস্টেমটাই ভেঙে পড়তে পারে। ফলে একাধিক বড় রাজ্যে ব্ল্যাকআউটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের মতো একাধিক রাজ্য ঠিক করেছে বিদ্যুতের এই চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য রবিবার রাত ৮টা থেকে রাজ্যজুড়ে লোডশোডিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময় ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে লোডশেডিং করে তারপর আবার রাত ৯টা ৯ মিনিটের পর থেকে তা ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়াও এই ৯ মিনিট দেশের সব বিদ্যুৎ সংস্থাকে সতর্ক থাকার কথা বলেছে পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড।