মারণ ভাইরাস করোনার সংক্রমণে শুক্রবার অবধি ভারতে আক্রান্ত বেড়ে ৭২৪, মৃত ১৭। যদিও এহেন পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়, প্রাথমিকভাবে কয়েকটি করোনার ঘটনায় সংক্রমণ ধরতে পারা না গেলেও, এটা ঠিক যে বর্তমানে এই ভাইরাসের কোনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী সংক্রমণ নেই। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে দেশে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন ৬৬ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে করোনার জেরে সংক্রমণের রেট কমে আসা শুরু হয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর এপিডেমিওলজি এবং সংক্রমক বিভাগের প্রধান ডা: আর আর গঙ্গাখেদকর করোনা সংক্রান্ত বেশ কিছু স্টাডি বাতিল করেছেন। যেখানে বলা হয়েছিল যে ‘জুলাইয়ের মধ্যে ৩০০ এবং ৪০০ মিলিয়ন ভারতীয় সংক্রামিত হতে পারে এই করোনায়।’ তবে তামিলনাড়ু কিংবা রাজস্থানের ভিলওয়ারার ঘটনায় রোগীর মধ্যে করোনা সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে অনিশ্চয়তা নিয়ে ডা: গঙ্গাখেদকর বলেন, ‘আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কখন এই রোগের সঙ্গে মোলাকাত হয়েছিল। সেক্ষেত্রে রোগীর সাম্প্রতিক ভ্রমণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে এর জবাব দিতে হবে। তাঁরা যা বলবে তাকেই যথাযোগ্য ভেবে নেওয়ারও কোনও কারণ নেই। একটা দু’টো এরকম ঘটনায় সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও সংক্রমণ ঘটায়নি এখনও। অন্তত সেই প্রমাণ এখনও আমাদের কাছে নেই। যদি থাকত তাহলে আপনাদেরকে বলব না কেন?’
আইসিএমআর-এর প্রধান অবধ্য এও বলেন, ‘এই সমস্ত (সম্প্রদায়ের সংক্রমণ) সম্পর্কে রিপোর্ট করার সময় মিডিয়াকে সতর্ক হতে হবে। অন্যথায় এটি আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। প্রমাণ ছাড়া এটি করা ঠিক নয়।’ উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর মতানুসারে, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বড় প্রমাণ হল, ‘যদি একের পর এক একই গোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগের উপক্রম দেখা দিতে থাকে। এমনকী বাড়বে রোগীর দেহে ভাইরাসের ইতিবাচক সাড়াও। রেসপিরেটরি নমুনা থেকে সেই সেন্টিনেল স্যাম্পেল পরীক্ষা করলেই জানতে পারা সম্ভব কমিউনিটি ট্রান্সমিশন সম্পর্কে।’
স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম-সচিব লাব আগরওয়াল বলেন যে ভিলওয়ারাতে একজন চিকিৎসকের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস ছিল এবং তাঁর দ্বারা সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশনের ঘটনাও ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘এই মুহুর্তে ৫০০-৬০০টি এমন ঘটনার সন্ধান চলছে। বিপুল সংখ্যক ঘটনা পাওয়া গেলে এবং এই রোগ সেখানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তখনই কেবলমাত্র আমরা বলতে পারি সম্প্রদায়ের সংক্রমণ ঘটছে।’