প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা করার পরেই মঙ্গলবার রাতে দোকান-বাজারে ক্রেতার ঢল নামে। তখন দফারফা হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের। মন লকডাউনে সায় দিলেও ভাঁড়ারঘরে রসদ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পেট কিন্তু লকডাউন মানে নি। যদি পরে কিছু না পাওয়া যায় তাই বারণ সত্ত্বেও মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে।
রান্নার গ্যাস পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার ছবিও এ দিন লকডাউনের রাস্তায় ফুটে উঠেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় সাইকেলে বা মোটর বাইকে গ্যাস সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। কারণ, দিন পেরিয়ে গেলেও গ্যাসের দোকান এলপিজি সিলিন্ডার জোগান বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারেনি ‘ডেলিভারি বয়’ ডিউটিতে না-আসায়।
কেনাকাটার সেই ভিড় বুধবার সকালে আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা ও প্রশ্ন ছিল একটাই— নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ না–এলে দোকানি বা বিক্রেতাই বা পরে সে সব কী ভাবে দেবেন?
এই অবস্থায় এ দিন সকাল থেকে দুপুর, কলকাতা ও লাগোয়া তল্লাটে ক্রেতারাই নিজেদের মতো করে লকডাউনের বাঁধন শিথিল করে নিয়েছিলেন। পরিস্থিতির বাস্তবতা অস্বীকার করতে না-পেরে অন্তত দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুলিশও লাগাম কিছুটা আলগা করতে বাধ্য হয়। তখন পুলিশের লক্ষ্য ছিল, অন্তত সত্যিকারের ক্রেতারা যাতে লকডাউনে যথেষ্ট যুযোগ ও ছাড় পান, সেটা নিশ্চিত করা।