জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে গোটা দেশকে লকডাউন করেছেন তিনি। ঠিক পরেরদিন সকালে অর্থাৎ বুধবার টুইট করে দেশবাসীকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানালেন মোদী। এই অসহনীয় কষ্টের মধ্যে এমন শুভেচ্ছা কার্যত নির্মম রসিকতা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বুধবার সকালেই টুইট করে উত্সব ও প্রথাগত নতুন বছর পালনের দিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘উগাডি, গুডি পরব, নভরেহ এবং সাজিবু চেইরাওবায় উৎসবের জন্য সবাইকে শুভেচ্ছা। এই অনুষ্ঠান আমাদের জীবনে সুস্বাস্থ্য, সুখ ও উন্নতি বয়ে নিয়ে আসুক।’ মণিপুরের বাসিন্দাদের তিনি পৃথক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গতকাল মণিপুরেই এক তরুণীর শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উদ্দেশ্যেও টুইট করেছেন মোদী। তাঁদের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন। লিখেছেন, ‘আমাদের দেশ যখন কোভিড–১৯–এর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে তখনই এই উত্সব পড়েছে। সাধারণত যেভাবে এই উত্সব পালিত হয় এবার তা না হলেও এই উত্সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের শক্তি জোগাবে। আমরা একসঙ্গে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’ উল্লেখ্য, বুধবার থেকে ৯ দিনের নবরাত্রি পালন শুরু হয়েছে গুজরাতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ থেকে নবরাত্রি শুরু হচ্ছে। বহু বছর ধরে মায়ের পুজো করছি। এবার আমি নার্স, চিকিৎসক, মেডিক্যাল স্টাফ, পুলিশকর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের জন্য প্রার্থনা করব যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন।’যেখানে দেশের মানুষ লকডাউনের জেরে সঙ্কটে পড়েছেন সেখানে এই শুভেচ্ছা বেমানান বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।