করোনার জেরে মহামারীর ফলে ১২ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হবে ভারতীয় অর্থনীতিতে। প্রায় ন’লক্ষ কোটি টাকা। বুধবার সকালে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। টাকার ওই অঙ্ক আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপির চার শতাংশের সমান। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার ধাক্কা সামলাতে কেন্দ্রের অবিলম্বে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা প্রয়োজন।
আগামী ৩ এপ্রিল দ্বিমাসিক পলিসি রিভিউ ঘোষণা করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আশা করা হচ্ছে, তাতে সুদের হার যথেষ্ট কমানো হবে। রাজকোষ ঘাটতির যে লক্ষমাত্রা বেঁধে রাখা হয়েছে, তা হয়তো মেনে চলা যাবে না।
কোভিড-১৯ মহামারী রুখতে দেশ জুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরে বুধবার শেয়ার বাজারে সূচক নেমেছে ০.৪৭ শতাংশ। ব্রিটিশ ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেজ জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক বিকাশ যা হবে ভাবা হয়েছিল, করোনার ধাক্কায় তার চেয়ে ১.৭ শতাংশ কম হবে। বিকাশের হার হবে ৩.৫ শতাংশ। এর পরে ওই ব্রোকারেজ সংস্থা জানিয়েছে, করোনা মহামারীর ফলে ক্ষতি হবে ১২ হাজার কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ন’লক্ষ কোটি টাকা। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে তিন সপ্তাহের লকডাউনের জন্যই ক্ষতি হবে ন’হাজার কোটি ডলার। ওই ব্রোকারেজ সংস্থার ধারণা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ০.৬৫ শতাংশ কমাবে। সুদ কমাবে এক শতাংশ।
দেশীয় ব্রোকারেজ সংস্থা এমকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মহামারীর ফলে অর্থনীতির যথেষ্ট ক্ষতি হবে। সেই ক্ষতিপূরণে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, সরকার বিষয়টি উল্লেখই করছে না। নোটবন্দী ও জিএসটি-র জোড়া ধাক্কায় অসংগঠিত ক্ষেত্র এমনিতেই বিপদের মধ্যে আছে। এরপর করোনাভাইরাসের জন্য তারা একেবারে ধ্বংসের মুখে পড়বে। তাদের মতে সরকারের অবিলম্বে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা উচিত।